আন্তর্জাতিক ট্রাভেল আইন ভঙ্গ করে একটি কার্গো উড়োজাহাজে করে আসা এক নারী।
বিদেশি নাগরিককে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়নি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তবে তার বাংলাদেশি ভিসা ছিল।
এ ঘটনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই নারী ডেনমার্কের নাগরিক।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হয়ে বাংলাদেশে কাজ করার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন
কাতার এয়ারওয়েজের একটি কার্গো বিমানে করে। বিমানবন্দরে আটকের পর তার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। পরে বুধবার সকালে . ফেরত পাঠানো হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি কার্গো ফ্লাইটে করে ওই নারী বিমানবন্দরে নামেন।
তিনি কার্গো বিমান থেকে নেমে বিমানের এক এয়ার হোস্টেসকে বলে সরাসরি ইমিগ্রেশন শাখায় চলে যান।
তিনি আসার দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে কোনো বিমান নামেনি। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোন বিমানে করে এসেছেন।
তখন ওই নারী জানান যে, তিনি কাতার এয়ারওয়েজের একটি কার্গো বিমানে করে এসেছেন।
তিনি পাসপোর্ট জমা দেন। পরে তার পাসপোর্ট চেক করে কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে, তিনি কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়েছেন।
তার ভিসা যথাযথ কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের দূতাবাসে ফোন দেয়া হয়। সেখান থেকে ভিসা দেয়ার বিষয় নিশ্চিত করা হয়।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় যে, আন্তর্জাতিক ট্রাভেল আইন অনুসরণ করে বাংলাদেশ। কোনো কার্গো বিমানে করে আসা বিদেশি নাগরিককে ঢুকতে দেয়া হয় না।
এ সময় তিনি তার বাংলাদেশে আসা এবং কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে নানা কথা বলেন।
কিন্তু, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে সাফ জানিয়ে দেন যে কোনোভাবেই তিনি দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাকে ফেরত যেতে হবে।
বুধবার সকালে তিনি কাতার এয়ারওয়েজের অন্য একটি ফ্লাইটে করে ফিরে যান।
এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ কাপ্টেন এস এম তৌহিদুল আহসান গতকাল জানান, ওই নারীর ভিসা বৈধ ছিল।
তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় কাজ করেন। তিনি কার্গো বিমানে করে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
আমরা তার কাছে জানতে পেরেছি যে, তিনি মনে করেছিলেন বাংলাদেশে কার্গো বিমানে করে গেলে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাবে।
কিন্তু, আমরা তাকে বলেছি যে, আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল যে আইন রয়েছে বাংলাদেশ সেটা যথাযথ অনুসরণ করে।
এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হয় না। কার্গো বিমানে করে আসার কারণে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।