করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ইরান ও আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করেছে তুরস্ক। রোববার (১৯ জুলাই) পরিবহন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, ইরানে ২৫ মিলিয়ন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকবে। সংক্রমণ কমানোর ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য বিভাগ দেরি করে ফেলেছে।
করোনাভাইরাসের মধ্যেই ১১ জুন থেকে আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচলানা শুরু করেছে তুরস্ক।
ইরানের সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশনের মুখপাত্র রেজা জাফরজাদেহও এদিন জানান, ইরানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তুরস্ক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটিতে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। শনিবার থেকেই তা কার্যকর হয়েছে।
তুরস্কে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ১১ জুন থেকে ধীরে ধীরে নতুন করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করেছিল তুর্কি এয়ারলাইন্স।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরান করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যভাগ থেকে ইরানে বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করার পর থেকে সেখানে এখন আবার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে সীমান্তও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বাণিজ্যর জন্য দু’দেশের সীমান্ত আবার খুলে দেওয়া হয়। জুনের মাঝামাঝি সময়ে দুই দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া নিয়ে বৈঠক করেন দু’দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি ইরানে ফের ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৫০ লাখ হতে পারে বলে শনিবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এতে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। বেড়েছে উদ্বেগ।
ইরানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ উদ্বেগ দূর করা চেষ্টা নিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান উর্ধ্বমুখীই দেখা যাচ্ছে। রোববার ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৩, ৭৮৮ জনে এবং মারা গেছে ১৪,১৮৮ জন।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের সরকারি হিসাবে রোববার করোনাভাইরাস শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫,২২৯ জনে এবং মারা গেছে ১,১৪৭ জন।
আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি গত সপ্তাহে বলেছে, দেশটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে আছে। কয়েক দশকের যুদ্ধে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে কোভিড-১৯ মহামারী।
সূত্র: হুররিয়াত ডেইলি নিউজ।