আজ রাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে আসছে ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ২০০ ডোজ টিকা।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে আসা এটিই প্রথম চালান। তবে এ টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কিছুটা জটিলতা থাকলেও প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।
কোভিশিল্ড ও সিনোফার্মের পর তৃতীয় কোনো টিকা হিসেবে রাতে ঢাকায় অবতরণ করবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ। তবে এর সংরক্ষণ ও বিতরণ পদ্ধতি আগের দুই টিকার মতো সহজ নয়।
রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইপিআইয়ের তত্ত্বাধয়ানে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে মহাখালী সংরক্ষণাগারে। সেখানে আল্টা-লো ফ্রিজারে রাখা হবে মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রিতে।
তবে কেন্দ্রে নেওয়ার আগে আইএলআর রেফ্রিজারেটরে ৮ ঘণ্টা রেখে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার উপযোগী করা হবে। আর এ অবস্থায় টিকা রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১২০ ঘণ্টা বা ৫ দিন।
কেন্দ্রে নেয়ার পর ডাইলুয়েন্ট মিশিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে মানবদেহে। সংরক্ষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে আগের ভ্যাকসিনগুলোর তুলনায় কিছু ভিন্নতা থাকায় ফাইজারের টিকার অপচয় রোধ করার দিকে নজর রাখার অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ পদ্ধতির জটিল হওয়ায় টিকা কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।