জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে পাইলট নওশাদ
মাঝ আকাশে উড়ন্ত ফ্লাইটে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এখন ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ‘কোমায়’ আছেন।
হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে শনিবার মোবাইল ফোনে ফোনে বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তার (ক্যাপ্টেন নওশাদ) অবস্থা গুরুতর।
তিনি বেঁচে আছেন সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায়।
তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ওই হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার, এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন নওশাদের দুই বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন। চিকিৎসকদের সাথে তারা চিকিৎসার ব্যাপারে আলোচনা করছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন নওশাদের পরিবারের সম্মতি সাপেক্ষে যেকোনা সময়ে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা খুলে ফেলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
বিমানের পাইলটকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
