ঢাকা: দেশে একটি স্বতন্ত্র এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের ক্রমবর্ধমান বিমান পরিবহন সেক্টরের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি ও আর্ন্তজাতিক শ্রমবাজারের বাজারের চাহিদা মেটাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
গত ৪ জুন প্রথম এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে মাস না ঘুরতেই এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম ও শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে এরই মধ্যে আলাদা আলাদা আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিভিল এভিয়েশন ও বিমান বাহিনী। তারা উভয়েই এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব পেতে চায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় চায় বিশেষায়িত এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় থাকুক সিভিল এভিয়েশন এবং বিমান বাহিনী যৌথভাবে।
এর আগে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হলেও তা এতোদিনে আলোর মুখ দেখেনি।
মন্ত্রণালয় বলছে, এজন্য মঙ্গলবার (২৮ জুন) একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু এসরার বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে।
তিনি বলেন, মাত্রই এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখনো এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানও ঠিক হয়নি। আমরা এ বিষয়ে ২৮ জুন বৈঠক ডেকেছি। সেখানে এটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে।