বাংলাদেশের পণ্যবাহী বিমানের সরাসরি প্রবেশে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বেসামরিক বিমান পরিবহনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্য) ও জার্মানির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক। সেটি তুলে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে।
“.. সরকার এভিয়েশন সিকিউরিটির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলবে।”
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরাপত্তার ঘাটতির কারণ দেখিয়ে জুনের শেষ সপ্তাহে জার্মানি বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে একইভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে মার্চের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ মেনে তাদের প্রতিষ্ঠান ‘রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় ।
এর মধ্যে মে মাসে শাহজালাল বিমানবন্দর পায় ‘আরএ-৩’ (ইইউ এভিয়েশন সিকিউরিটি ভ্যালিডেটেড রেগুলেটড এজেন্ট) মর্যাদা, যার ফলে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশ ঘুরে ফের যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় পণ্যবাহী বিমান চলাচেলের সুযোগের কথা এর আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো যেতে তৃতীয় দেশে রি-স্ক্রিনিং করাতে হবে, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হবে না বলে জানান তিনি।
তিনটি দেশে সরাসরি কার্গো পরিবহন ফের সচল করতে কূটনৈতিক তৎপরতার কথা তুলে ধরে মঙ্গলবার বিমানমন্ত্রী বলেন, “আজকে সাতটি দেশের এম্বাসেডরদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি আলোচনায় বসবে। সেখানে যাবতীয় শর্ত পূরণের পরও কেন সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
“তাদের জানাব, তোমরা আমাদের আরএ-৩ দিয়েছ। জার্মানির বেসামরিক বিমান সংস্থা লুফথানসা এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারাও এসে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। তারপরও তোমরা কেন এটা বন্ধ করে রেখেছ?”
এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলোকে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে মেনন বলেন, “হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সমস্ত ডমেস্টিক এয়ারপোর্টের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এখানে আমরা রেড এলার্ট বলি না। তার একটা অন্য অর্থ রয়েছে।”