রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ অবসানের ভিত্তি হতে চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা। কিয়েভ ও পশ্চিমারা যখন রাজি থাকবে তখন এই সমাধান সম্ভব।
গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়া সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পুতিন বলেছেন, তিনি ও চীনা প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে একান্ত বৈঠকে বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাব মনোযোগ দিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি দফা আমরা বিশ্বাস করি।
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা যখন আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি, তখন আমরা উল্লেখ করেছি চীন ও রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রে খুব কাছাকাছি।
পুতিন বলেন, বিশ্বের অনেক অঞ্চলে উত্তেজনা, সংঘাত ও সম্ভাব্য সংকট বাড়ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ বিস্তৃত হচ্ছে।
পুতিন আরও বলেন, সামরিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য অপর দেশের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটানোর বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাজ্য যদি ইউক্রেনকে ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র পাঠায় তাহলে রাশিয়া বাধ্য হবে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে।
সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইউক্রেনকে চ্যালেঞ্জার-টু ট্যাংকসহ এমন ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র পাঠানো হবে।
যৌথ ঘোষণা পাঠের সময় পুতিন বলেন, চীনের সহযোগিতায় রাশিয়ার অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও অর্থনীতি।
তিনি বলেন, রাশিয়ার শীর্ষ বৈদেশিক বাণিজ্যিক অংশীদার হলো চীন। দুই দেশে অর্থ, পরিবহন ও লজিস্টিকস খাতে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করবে। গ্যাস বাণিজ্যও বাড়ছে দুই দেশের।
তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া ও চীন পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। চীনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করছে রাশিয়া।