পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর চলছে ভোটগণনা। ২৬৬ আসনের মধ্যে কয়েকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলাফলে শুরু বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পিএমএল-এন। দলটির প্রধাননেতা নওয়াজ শরিফ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তার জন্য এটিকে বেশ বড় পরাজয় বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও নওয়াজ অন্য আরো একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খবর সামা টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রধান নেতা নওয়াজ শরিফ মানসেহরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, শাহজাদা গাস্তাসাপ ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, আর মিয়া নওয়াজ শরিফ ৬৩ হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সামা টিভি বলছে, অপ্রত্যাশিত এই ফলাফল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর নির্বাচনী দৃশ্যপটে একটি বড় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অবশ্য মানসেহরাতে পরাজয় সত্ত্বেও নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। এর ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথম আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই আসনটিতে জয় পায় ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপর আরও কয়েকটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।
অবশ্য বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সবচেয়ে বেশি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৭৪ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদ রয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো বলছে, নওয়াজের এই দলটি নির্বাচনে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে।