নওয়াজ নয়, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরীফ

শেষে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনে একমত পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে তারা। জোট সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে দুই দলের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলেও অবশেষে পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে তারা। তবে নওয়াজ শরিফ নয়, নতুন এ সরকারেরও নেতৃত্বে থাকবেন শাহবাজ শরিফ।

গতকাল রাতে হঠাৎ করে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

একই সঙ্গে বিলাওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি নিজেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। খবর ডন ও জিও নিউজ।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানান, এত দিন পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের কথাই আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ।

জোট সরকার গঠনের বিষয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার পিপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিলাওয়াল। পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন তারা। সরকার ও মন্ত্রিসভায় থাকার ইচ্ছাও নেই তাদের।  বিলাওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি নিজেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রে পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন তাঁরা। তবে সরকারে থাকবেন না। কেন্দ্রে মন্ত্রিসভায় থাকার ইচ্ছাও নেই তাদের।
তার ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর গতকাল রাতে বৈঠকে বসেন পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) নেতারা। ওই বৈঠক শেষে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে, পাকিস্তানের নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের জনগণ স্পষ্টভাবে তাদের রায় দিয়েছেন। আর এ কারণেই পাকিস্তানের নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সুবিচারের একান্ত প্রয়োজন। চুরি করা ভোটে সরকার গঠনের দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করে তিনি বলেন, এই ধরনের প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি কেবল নাগরিকদের অসম্মানই করবে না, দেশের অর্থনীতিকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দেবে।

জানা গেছে, পাকিস্তানের তিনটি প্রধান দল পিএমএল-এন, পিপিপি বা পিটিআই কোনও দলই জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন জিততে পারেনি। তাই জোট সরকার গঠন করছে দেশটি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.