ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন ইসরায়েল এবং লেবানন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীসভা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিদ্যমান পরিকল্পনার অধীনে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চারটি সিনিয়র লেবানিজ সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে আল জাজিরা। এর আগে, প্যান-আরব আশারক আল-আওসাত সংবাদপত্র জানিয়েছিল, বাইডেন এবং ম্যাক্রোঁ আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই শেষ করতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর উপস্থিতির অবসান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশ্চিমা কূটনীতিকের বরাতে বিবিসি বলেছে, এই চুক্তিতে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর খালি করা এলাকায় লেবাননের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন যে একটি চুক্তি “ঘনিষ্ঠ” এবং আলোচনা সঠিক পথে চলছে।
তবে ইসরায়েলের কঠোর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটিকে “একটি গুরুতর ভুল” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ধ্বংস করার “একটি ঐতিহাসিক সুযোগ”।
এর আগে মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মাঝেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ দুপক্ষের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা জোর দার করেছে। শনিবার বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়। এর পাল্টা জবাবে রোববার হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে মুহুর্মূহু শত শত রকেট হামলা চালায়।