নিয়মিত বিমান ভ্রমণে সবসময় সুস্থ থাকার উপায়।
ব্যবসা বা কর্মসূত্রে অনেককেই নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করতে হয়। এমনকি ভ্রমণপিপাসু মানুষও আছেন এই দলে। তবে দেখা যায়, যারা নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করেন, ভ্রমণের পরপরই তাদের অসুস্থতা বেড়ে যায়। সহজেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগ তাদের আক্রমণ করে।
বিএমসি ইনফেকশাস ডিজিজ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এয়ারপোর্টে সংক্রামক ব্যাধি ছড়ায় সহজেই। এয়ারপোর্টে আপনি যত জিনিস স্পর্শ করেন তার ১০ শতাংশেই থাকতে পারে কোনো না কোনো ক্ষতিকর ভাইরাস। এসব কারণে বিমান ভ্রমণের সময় সবারই সতর্ক থাকা উচিত।
জেনে নিন বিমান ভ্রমণে সতর্কতার কিছু টিপস-
১. পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এটা সবারই জানা কথা। তাই ফ্লাইটের আগেরদিন পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন।
২. জিংক খেতে পারেন: জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কাজে আসে জিংক। এর জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
৩. সিকিউরিটি লাইনের বাক্সের বিষয়ে সাবধান থাকুন: সিকিউরিটি লাইনে একটি বাক্সে বা ঝুড়িতে বিমান যাত্রীর সাথে থাকা টুকিটাকি রাখতে হয় পরীক্ষার জন্য। এই ঝুড়িটিতেই থাকে বেশিরভাগ জীবাণু। সময় একটু বেশি লাগলেও অ্যান্টিসেপ্টিক ওয়াইপ দিয়ে বাক্সটি মুছে তারপর আপনার জিনিস এতে রাখুন।
৪. হাত ধুতে হবে বারবার: হাসপাতালে থাকলে যেমন বারবার হাত ধুতে হয়, তেমনি এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত বারবার হাত ধুতে হবে। হাতে ক্রিম মেখে রাখতে হবে।
৫. ন্যাসাল স্প্রে: নাক সুস্থ রাখতে নাসাল স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে নাকের ভেতরটা শুকিয়ে অস্বস্তির সৃষ্টি করবে না, আপনি সহজে অসুস্থও হবেন না।
৬. সিট এরিয়া পরিষ্কার করে নিন: অ্যান্টিসেপ্টিক ওয়াইপ ব্যবহার করে আপনার সিট, সামনের সিটের ব্যাক পকেট, আর্ম রেস্ট, ডেস্ক পরিষ্কার করে নিন। এতে আপনার শরীর ও জিনিসপত্রে জীবাণু লেগে থাকবে না।
৭. চা পান করুন: বিমানে অনেক ধরণের পানীয় সার্ভ করা হয়। সব বাদ দিয়ে চা পান করুন। এমনকি নিজের হার্বাল টি-ব্যাগ নিয়ে যেতে পারেন। যেমন জিঞ্জার টি বা তুলসি টি।
সুত্র: পপসুগার