কুয়াকাটায় থার্টি ফাস্ট উদযাপনে আয়োজন থাকলেও নেই পর্যটক।
নির্বাচনী উত্তাপে, উচ্ছাসহীন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও থার্টি ফাস্ট উদযাপকে ঘিরে পর্যটন সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ীদের নানা উদ্যোগ থাকলেও পর্যটকদের আশানুরুপ উপস্থিতি না থাকায় হতাশ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ফলে অনেকটাই বিবর্ন এবারের থার্টি ফাস্ট উৎসব আয়োজন।
প্রতি বছর থার্টি ফাষ্ট উদযাপনকে কেন্দ্র করে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় আগমন ঘটতে থাকে হাজারো পর্যটকের। দিবসটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকের আনন্দ বিনোদনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে হোটেল মোটেল অনার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ সকল পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্নিল হয়ে ওঠে ১৮ কিঃ মিঃ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এক মাস আগেই বুকিং হয়ে যায় হোটেল-মেটেল-কটেজের কক্ষ। কিন্তু এ বছরের চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই কুয়াকাটায় দিন দিন কমতে থাকে পর্যটকের উপস্থিতি। ৩০ তারিখ ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র এ উপস্থিতি কমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। স্থানীয় পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু পর্যটকের উপস্থিতিতি থাকলেও হতাশ সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ীরা। তবে শেষ সময়ে পর্যটকদের আশা করছেন তারা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম জানান, থার্টি ফাষ্ট উপলক্ষে পর্যটকদের সেবা দিতে হোটেল মোটেল সুসজ্জিত করা হয়েছে। পর্যটকর উপস্থিতি কম থাকলেও আজ থেকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক সাময়া জামান সুইটি জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবারের সবাই মিলে বছরের শেষ সূর্যোদয়কে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরের নতুন প্রভাতের হিমেল শীতের সূর্যোদয়ে সিক্ত হতে কুয়াকাটায় আসি। এখানকার প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র আমাদের বেশ মুগ্ধ করে। তবে এবার পর্যটকের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে নিস্প্রান মনে হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসি খলিলুল রহমান জানান, নির্বাচনের কারনে আমাদের ফোর্সের স্বল্পতা রয়েছে। তারপরও পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।