এভিয়েশন নিউজ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে সার্বিক ভিসা ব্যবস্থা সহজ করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে ওবামা প্রশাসন। আগামী ২০২১ সালের শেষনাগাদ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে দর্শনার্থীর সংখ্যা একশ’ মিলিয়নে উত্তীর্ণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
সে লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকে আরও বেশি আকৃষ্ট করতে সার্বিক ভিসা ব্যবস্থাকে সহজতর করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্র্যাটেজি নির্দেশনার অগ্রগতি বিষয়ে হোয়াইট হাউস প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
নতুন ‘ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্র্যাটেজি’তে সারাবিশ্ব থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়াতে ভিসা আবেদন, এন্ট্রি প্রসেসের উন্নয়ন সাধন, রিসোর্স বাড়ানো এবং দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তৈরিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১২ সালে নির্বাহী আদেশ দেন। ওবামার ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্র্যাটেজি নির্দেশনার সেই নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে জাতীয় নিরাপত্তার আওতায় প্রতিটি দেশের নাগরিকদের আবেদনপত্র অব্যাহতভাবে বাছাই করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার অফিসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আরও নতুন কনস্যুলার শাখা খোলা হচ্ছে, যেমনটি আগামী ২০১৬ সালে পোর্টো এলেগ্রে এবং বেলো হরিজোন্টেতে নতুন কনস্যুলেট খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভ্রমণে সুবিধাদি বৃদ্ধিতে নতুন কয়েক হাজার কনস্যুলেট স্টাফ নিয়োগসহ কর্মদক্ষতার উন্নয়ন করা হয়েছে। যদিও প্রতি বছর ভিসা দেওয়ার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই।
ভ্রমণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামার দেওয়া ‘ভিসা’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং তারও ওপরের লক্ষ্যে পৌঁছতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের গৃহীত পদক্ষেপে ইতিমধ্যেই বিদেশি দর্শনার্থীরা এর সুফলও ভোগ করতে শুরু করেছে। ২০১৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ৭০ মিলিয়ন দর্শনার্থী যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকালে দর্শনার্থীরা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ ১৮০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এ ছাড়া ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন চাকরির মধ্যে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে অবদান রেখেছে।