গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ানো হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে বিএনপি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষ ক্রয়-ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
“আমি দলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে তাদের (সরকার) এই গণবিরোধী পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জোরালো আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।”
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকার প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার সম্প্রতি দেশের বাজারেও তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বুধবার জ্বালানি বিভাগে এক বৈঠকের পর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের কথা বলেন।
এর আগে গতবছর ২৭ অগাস্ট গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, তারপরও বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে সরকারের দুর্নীতির ব্যপ্তি আরও বৃদ্ধি করার জন্য।”
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নাশকতার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করায় নিন্দা জানান রিজভী।
তিনি বলেন, “ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী একতরফা প্রভুত্ব করার উদ্দেশ্যেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে আটকে রেখেছে।”
রাষ্ট্রদ্রোহ ও ধর্মীয় উসকানির অভিযোগে ২০১৩ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার মাহমুদুরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান এই বিএনপি নেতা।
সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘‘দেশে মনে হয়, সব সময়ের জন্য একটি সান্ধ্য আইন জারি করে রাখা হয়েছে। মানুষের কণ্ঠস্বরকে নির্বাক করার জন্য এই বেআইনি নিষ্ঠুর দমনমূলক সান্ধ্যা আইন জারি করা হয়েছে।”
পুলিশ ও র্যা ব এখন বাংলাদেশে ‘হত্যাবিলাসী প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম, খায়রুল কবীর খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুল লতিফ জনি, আবদুস সালাম আজাদ