চট্টগ্রামে তারুণ্যের জাগরণ: ঐতিহাসিক সমাবেশে মিল্টনের ‘তৃষ্ণা উপহার’ ও আশাবাদের বার্তা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র ডাককে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের মহাসমাবেশ।
প্রচণ্ড রোদের তাপ ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেন হাজারো তরুণ-তরুণী, যারা এসেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও পার্বত্য অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে।

সমাবেশস্থলে চোখে পড়েছে তরুণদের ঢল, মাইক্রোবাস ও ব্যাক্তিগত গাড়ির সারি। নগরের সিআরবি, টাইগারপাস, ওয়াসা ও কদমতলী এলাকায় দুপুর থেকেই যানজটে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। মাঠজুড়ে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করলেও অংশগ্রহণকারীদের চোখেমুখে ছিল দৃপ্ত প্রত্যয় ও উদ্দীপনা।

এই সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের নেতা জনাব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে পানির বোতল বিতরণ করা হয়। গরমে কাতর মানুষের কাছে এ যেন হয়ে ওঠে মানবিকতার স্পর্শ—এক ‘তৃষ্ণার উপহার’।

সমাবেশ শেষে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় মিল্টন লিখেন, তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে তরুণদের অভাবনীয় উপস্থিতি, প্রজ্ঞা ও প্রত্যয় আমাদের আগামী দিনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আজকের এ সমাবেশ কেবল রাজনৈতিক বক্তব্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি হয়ে উঠেছে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার পথে এক সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা—যেখানে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তারুণ্যের শক্তি ও স্বপ্ন।

উল্লেখ্য, জনাব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন সন্দ্বীপের একজন উদীয়মান জননেতা এবং বহিঃবিশ্ব সন্দ্বীপ জাতীয়তাবাদী ফোরাম-এর সম্মানিত সভাপতি। তাঁর প্রেরণা ও সুশৃঙ্খল দিকনির্দেশনায় সন্দ্বীপবাসী আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখে—অগ্রগতির, অধিকারের ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর পাশাপাশি সমাবেশে যোগ দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি দেশের তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Comments (0)
Add Comment