সঙ্গীতের কপিরাইট নিয়ে কাতার এয়াওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা

বিমানে বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত একটি সঙ্গীত কপিরাইটের মামলায় প্রাথমিকভাবে হেরে গেছে কাতার এয়ারওয়েজ। লন্ডন হাইকোর্টের এক বিচারক ওই এয়ারলাইন্সটির প্রচেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (পিআরএস) মামলাটি দায়ের করে, যারা হাজার হাজার গীতিকার, কম্পোজার ও সঙ্গীত প্রকাশকের উপস্থাপনা ও রয়্যালটি সংগ্রহ করে।

পিআরএসের অভিযোগ, লাইসেন্স ছাড়াই বিমানযাত্রীদের বিনোদনের জন্য তারা গানটি ব্যবহার করছে। কাতার এয়ারওয়েজের অবৈধ প্রচেষ্টায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, মূলত এয়ারলাইনসগুলো পিআরএসের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়েই বিমানে বিনোদনের জন্য সঙ্গীত পরিবেশন করে।

তারা মনে করে লাইসেন্স ছাড়াই সঙ্গীত বাজানো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষমতা অধিকারের লঙ্ঘন। যুক্তরাজ্য, কাতার ও যেসব দেশে এয়ারওয়েজটির বিমান চলাচল করে সেসব দেশ থেকেও ক্ষতির আশঙ্কা করছে পিআরএস ।

বিচারক কলিন বিরস রুল জারি করে বলেন, বিষয়টি কাতার ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সঙ্গীতের কপিরাইটের অপরাধ একটি বড় অপরাধ। যুক্তরাজ্য ও কাতারে এটি বাজানোর অধিকার থাকলেও এয়ারওয়েজটি বিভিন্ন দেশে তা বাজাচ্ছে। পিআরএস ওই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের ইনট্যালেকচুয়াল প্রোপার্টি ব্যবহারের কারণে তারা কাতার এয়ারওয়েজের সমালোচনা করেছে।

পিআরএসের চিফ ইন্টারন্যাশনাল এবং লিগ্যাল অফিসার সামি ভালকোনেন জানান, আদালতের রায়টি আমাদের জন্য প্রাথমিক বিজয়। মামলাটি ছিল দীর্ঘস্থায়ী অবিচারকে সংশোধন করার জন্য আমাদের নিরপেক্ষ অনুসন্ধান। তিনি কাতার এয়ারওয়েজের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি ও শিগগির সমস্যার কার্যকরী সমাধান প্রত্যাশা করেন।

পিআরএস জানাচ্ছে, কাতার এয়ারওয়েজ যদি লাইসেন্স না করে তাহলে আমরা মামলা চালিয়ে যাব। সঙ্গীতের স্বত্ত্ব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে লাইসেন্স ছাড়াই ১০ বছর ধরে অপরাধটি করে আসছে কাতার এয়ারওয়েজ।

উল্লেখ্য, এয়ারলাইন্সটি মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ বিমান কোম্পানিগুলোর একটি। এমিরেটসের পরেই তাদের অবস্থান। কিন্তু কিছু দেশ তাদের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোম্পানিটির সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.