এয়ারলাইন্স ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল ফ্লাইটের টিকিটের টাকা (রিফান্ড) ফেরতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপোর এয়ারলাইন্সগুলো আবারও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। টিকিট রিফান্ড না পেয়ে যাত্রীরা পরিবর্তিত ফ্লাইটে বিমান ভ্রমণে অনীহা প্রকাশ করছে। এজন্য শিডিউলে পরিবর্তন আনছে এয়ারলাইন্সগুলো।
বুধবার এক ঘোষণায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ফিনান্সিয়াল টাইমসের খবর। রাইয়ান এয়ার ইউরোপের কম খরচের এয়ারলাইন্সের মধ্যে সবচেয়ে বড় । কোম্পানিটি প্রত্যাশার তুলনায় যাত্রী পরিবহন কমিয়ে দিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের পতাকাবাহী বিমান সংস্থা ফিনএয়ার জানিয়েছে, অক্টোবরে তারা প্রতিদিন ৮০টির বেশি ফ্লাইট ওড়াবে না। অথচ তাদের প্রতিদিন ২০০ ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স বলছে, আগের বছরের তুলনায় তাদের ৭০ শতাংশ ফ্লাইট কমাতে হয়েছে করোনার কারণে। মহামারীতে এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয় মূলত এভিয়েশন শিল্পের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে যাত্রীদের আগ্রহও অনেক কমেছে, যা শিডিউল বিপর্যয়ে জ্বালানি যোগাচ্ছে। এই বছরে এয়ারলাইন্সগুলোতে লোকসান হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
চলতি সপ্তাহের প্রথমেই ইজিজেট তাদের শিডিউল কাটছাট করেছে। রাইয়ানএয়ার এক বছরে ১৫০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের প্রত্যাশা করলেও তারা এখন বছরে মাত্র ৫০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের কথা ভাবছে।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ওলিরাই বলছেন, আসন্ন মাসগুলোতে ফ্লাইট আরও কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তিনি বলছেন, যেসব দেশে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা কম শক্তিশালী এবং বৈজ্ঞানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে, সেসব দেশে ফ্লাইট আমরা চালাব না।
এয়ারলাইন্সগুলো দ্রুত করোনা মহামারীর বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসার ইতিবাচক চিন্তা করছিল। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি না হওয়ায় তারা আশাহত হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের বিলম্বে অ্যাকশন ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
দেশটি এভিয়েশনে লকডাউন, করোনা টেস্ট ও ফেস মাস্ক ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেরি করে ফেলেছে যা এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর খারাপ প্রভাব পড়েছে।