লক্ষাধিক শ্রমিক নেবে কাতার

khondokar mosarroমার্চ ০২, ২০১৫ : আগামী ২০২২ সালে মুসলিম দেশ কাতারে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। আর সেই বিশ্বকাপে কাতারকে ঢেলে সাজাতে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে লক্ষাধিক শ্রমিক নেবে কাতার সরকার।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে এমন কথাই জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে কাতার সরকার ৫০ হাজার শ্রমিকের চাহিদাপত্র ও ভিসার অনুমোদন দিয়েছে। ৫০ হাজার ছাড়াও কাতার সরকার আরও শ্রমিক নেবে।
মন্ত্রী আরো জানান, এ সব শ্রমিকের কাতার যেতে কোনো খরচ লাগবে না। তাদের সব খরচ সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বহন করবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত ২ মাসে ৫০ হাজার কর্মীর ভিসা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ সব কর্মী আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কাতারে যাবে। এ ছাড়া চলতি বছরের বাকি ১০ মাসে আরও এক থেকে দেড় লাখ কর্মী কাতারে যেতে পারবে বলে আশাবাদ মন্ত্রীর।

রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সোমবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

গত ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল কাতার সফর করেন। সফরের সময় তিনি কাতারের শ্রম মন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ সালেহ মুবারক আল খুলাইফিসহ দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি আমদানি খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সফরের সফলতা তুলে ধরতে সোমবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রস্তুতি কাজের (স্টেডিয়াম নির্মাণ ও রাস্তা সংস্করণসহ) জন্য বাংলাদেশ থেকে এ সব কর্মী নেবে দেশটি।

কাতারে যেতে কর্মীদের কোনো খরচ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সব খরচ সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠা বা ব্যক্তি বহন করবে।

রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, সাধারণত কাতারের রিক্রটিং এজেন্সি আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে লোক নিত। একজন কর্মীর কাতারে যেতে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হতো। এখন তা হবে না। কাতারের শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। কাতারের রিক্রুটিং এজেন্সি দূতবাসের মাধ্যমে আমাদের ডিমান্ড লেটার পাঠাবে, আমরা তা এজেন্সিগুলোকে (বায়রা) দিয়ে দেব। এতে ভিসা ট্রেডিংয়ের সুযোগ থাকবে না। আমাদের ডাটাবেজ থেকে ডিমান্ড লেটারের তিনগুণ কর্মীর তালিকা রিক্রুটিং এজেন্সিকে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তারা কর্মী বাছাই করে কাতারে পাঠাবে।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আগে কাতার সরকার কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে নেপাল, ভারত, ফিলিপাইনকে গুরুত্ব দিত। সে দেশের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা বৈঠক করার পর তিনি বলেছেন, এখন থেকে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি উপলক্ষে যে সব লোক নেওয়া হবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওযা হবে। এর মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আগের অবস্থানে যাবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, বিএমইটির ডিজি বেগম শামসুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.