ল্যামিনেশন পেপার কেনারও অর্থ নেই পাকিস্তানের, ইস্যু হচ্ছে না পাসপোর্ট

নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে গিয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পাকিস্তানি নাগরিকরা। কারণ ল্যামিনেশন পেপার আমদানি করার ক্ষমতা নেই সরকারের। যার জেরে পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটি ল্যামিনেশন পেপারের ব্যাপক ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। যার ফলে দেশব্যাপী ভ্রমণ নথির অভাব দেখা দিয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ যাদের অধ্যয়ন, কাজ বা অবসরের জন্য দেশের বাইরে উড়ে যেতে হবে তারা এখন সবুজ রঙের বইটি পেতে লড়াই করছেন। পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ইউকে বা ইতালিতে ডিগ্রি অর্জনের জন্য অনুমোদিত ভিসা নিয়ে বাড়িতে আটকে আছে, তাদের পাসপোর্ট আসার অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে সীমাহীন অপেক্ষার জেরে তাদের এই সুযোগ হারাতে হতে পারে।

হীরা নামের একজন ছাত্র বলছেন, ইতালির জন্য আমার স্টুডেন্ট ভিসা সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে এবং আমার অক্টোবরে দেশ ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্তু  পাসপোর্টের অনুপলব্ধতা আমার সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।

ফ্রান্স থেকে ল্যামিনেশন পেপার আমদানি করা দেশটি ২০১৩ সালে প্রিন্টারের জন্য অর্থ এবং ল্যামিনেশন পেপারের অভাবের কারণে একই রকম বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছিল।

ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্টস ল্যামিনেশন পেপার আমদানি করতে না পারায় সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়ার মহাপরিচালক কাদির ইয়ার তিওয়ানা আশ্বস্ত করেছেন, সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংকট শেষ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং পাসপোর্ট ইস্যু স্বাভাবিকভাবে চলবে।”

অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, তাদের পাসপোর্ট  প্রস্তুত ছিলো কিন্তু যখন তারা পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছায় তখন তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। পেশোয়ারের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইমরান বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে পাসপোর্ট অফিস বলে আসছে  আপনার পাসপোর্ট আগামী সপ্তাহে আসবে, কিন্তু একাধিক সপ্তাহ কেটে গেছে এবং তারা একই কথার পুনরাবৃত্তি করে চলেছে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শহরগুলির পাসপোর্ট অফিসগুলিও কখন প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু করা যেতে পারে সে সম্পর্কে অজ্ঞ। পেশোয়ার পাসপোর্ট অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেছেন, তারা বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র ১২ থেকে ১৩ টি পাসপোর্ট প্রক্রিয়া করতে পারছে, আগে সেই সংখ্যাটা ছিলো দিনে ৩০০০ থেকে ৪০০০।

সূত্র : এনডিটিভি

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.