মেক্সিকো সিটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিরাপত্তা এবং অবাধ সুবিধার দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) এ সেবার উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতীয় ভ্রমণ অবকাঠামো আধুনিকায়ন এবং বৈশ্বিক মান পূরণে এর ভূমিকা তুলে ধরে এ সেবার উদ্বোধন করেন
যা মেক্সিকোসহ সমবর্তী দায়িত্বভুক্ত দেশসমূহে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিরাপত্তা এবং কনসুলার সুবিধা বৃদ্ধিতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বাংলাদেশ থেকে আগত সরকারি প্রতিনিধি দল এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই সেবা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটালাইজেশনের প্রচেষ্টা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ৫২তম দূতাবাস হিসেবে গণ্য হলো।
সেইসাথে এই সেবা উন্নততর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দ্রুত অভিবাসন প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিরবচ্ছিন্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপরে, মেক্সিকোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান রাখেন আরিফুজ্জামান কবীর (এরিকসন), আক্তারুজ্জামান (জাপান-বাংলাদেশ টোব্যাকো লিমিটেড), আজাদ হোসেন (রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী) এবং শামসুল আলম খান চৌধুরী (গ্রামীণ কার্সো)। তারা তাদের বক্তব্যে এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে চলাচলের সুবিধা এবং বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খলিল আহমেদ এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনের উপ-প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান তাদের বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট সিস্টেমের নীতিগত আলোচনার পাশাপাশি এর প্রযুক্তি, বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামকে তারা একটি স্মারক ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন।
পরবর্তিতে আমন্ত্রিত সকলের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করার পাশাপাশি মেক্সিকোতে বসবাসরত দুইজন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ই-পাসপোর্ট বিতরণের রসিদ হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তিতে উপস্থিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
ই-পাসপোর্ট সিস্টেমের এই উদ্বোধন বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধান অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
ই-পাসপোর্ট সেবা এখন সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ায়, মেক্সিকো, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও ইকুয়েডরসহ ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশসমূহে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা দ্রুত ও উন্নত কনসুলার সেবা পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।