আগামীর যুব নেতৃত্ব বিশ্বকে নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাবে

আগামীর যুব নেতৃত্বের সৃষ্টি প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘ যুব ও ছাত্র সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস ইয়থ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউনিস্যাব) ১৮তম ব্যাচের নবীনবরণ। গত ১৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয় এই নবীনবরণ। প্রায় ২০০ অংশগ্রহণকারীর মিলনমেলার মধ্যদিয়ে সূচনা হলো এক নতুন যাত্রার।

অনুষ্ঠানে ইউনিস্যাব’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ড. সৈয়দ শেখ ইমতিয়াজ সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউএনডিপি বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রধান মো. আব্দুল কাইয়ুম, প্রাক্তন জাতীয় তথ্য কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. মনিরুজ্জামান, ইউনিলিভার বাংলাদেশের গ্রাহক ব্যবসা উন্নয়ন প্রধান মো. শাদমান সাদিকিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইউনিস্যাবের নবীনবরণ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি অর্থবহ যাত্রার সূচনা। পরামর্শদাতাদের নির্দেশনা, প্রাক্তন সদস্যদের প্রজ্ঞা, ও নবাগতদের সম্মিলনে ইউনিস্যাব বিশ্বকে একটি নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে। যেখানে সংগঠনটির নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের সাহস, সহানুভূতি ও ধীশক্তির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ নির্মাণে সদা প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

প্রধান অতিথি সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমাযুন কবির বলেন, নেতৃত্ব বিষয়টি রাজনীতির পরিমণ্ডলের ঊর্ধ্বে। যা সময়, প্রেক্ষাপট এবং প্রয়াসের দ্বারা সৃষ্টি হয়। তিনি বিশ্বাস করেন আদর্শ নেতা পরার্থবাদী, নীতিবান এবং টেকসই লক্ষ্য নির্ধারণে অবিচল থাকে।

তিনি আরও বলেন, আপনি তখনই একজন স্বেচ্ছাসেবক হতে পারেন, যখন আপনি জনসেবার প্রতি নিবেদিত থাকেন।

ইউনিস্যাবের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ড. সৈয়দ শেখ ইমতিয়াজ তারুণ্যের সম্ভাবনার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেন। তার মতে, আমরা সবাই নেতৃত্বের সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। নেতা হিসেবে বিকশিত হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং পরিচর্যার প্রয়োজন। তিনি নতুন ব্যাচকে প্রত্যাশা এবং সৌহার্দের সঙ্গে তাদের যাত্রা শুরু করতে উৎসাহিত করেন।

ইউএনডিপি মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘নেতৃত্ব শুধু পদবি নয়, এর মূল লক্ষ্য প্রভাব সৃষ্টি করা।’

ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বব্যাপী সম্পৃক্ত এবং স্থানীয়ভাবে সংযুক্ত থাকার জন্য উৎসাহিত করেন। জাতিসংঘের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জোর দিয়ে বলেন, অর্থপূর্ণ পরিবর্তন শুরু হয় সচেতন, সক্রিয় নাগরিক হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের বর্তমানে গ্রাহক ব্যবসা উন্নয়ন প্রধান মো. শাদমান সাদিকিন বলেন, যেকোনো নতুন অভিজ্ঞতা আপনাকে ভেঙে দেয়, আপনাকে ধরে রাখে এবং আপনাকে গড়ে তোলে। তিনি তার চলার পথের চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম বলেন, ইউনিস্যাব আমাকে অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করেছে এবং নেটওয়ার্কিংয়ে সহায়তা করেছে। তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করার এবং তার পেশাদার ভিত্তি তৈরির জন্য ইউনিস্যাবকে কৃতিত্ব দেন।

অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে ইউনিস্যাব সদস্যদের ঐক্য ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটায়। অংশগ্রহণকারীরা কবিতা, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের বৈচিত্র্যময় কণ্ঠস্বর ও অভিন্ন প্রতিফলন ঘটিয়েছে।