ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

bd7adad1883b914d28f12f8e7c0ee6be-25দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাবলি নিয়ে ঠিক কতগুলো চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে, তার হিসাব করতে গেলে মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে হবে। অ্যালাইড নামের ছবিটি সেই প্রবাহে এক নতুন সংযোজন। কারণ, এতে আবারও ফিরে এসেছে সেই পুরোনো ইতিহাস, তবে হয়তো কিছুটা নতুন রূপে। তারকা অভিনেতা ব্র্যাড পিট এখানে কাজ করেছেন এক তুখোড় গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভূমিকায়। ১৯৪২ সালে তিনি উত্তর আফ্রিকায় ফরাসি প্রতিরোধ বাহিনীর যোদ্ধা মারিয়ান বোসজুর মুখোমুখি হন। সেই ভয়াবহ অভিযানের সাক্ষাৎই তাঁদের ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। পরে আবার দেখা হয় লন্ডনে। কিন্তু সেটা যুদ্ধের চাপে তাঁদের প্রেম পড়ে যায় বড় হুমকির মুখে। কাহিনিসূত্র এভাবেই এগোয়।
যুক্তরাষ্ট্রে গত বুধবার মুক্তি পেয়েছে অ্যালাইড। এতে ব্র্যাড পিটের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ান কোতিয়ার্দ। ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে কোনো সংবাদ সম্মেলনেই দেখা যায়নি পিটকে। তিনি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে সাম্প্রতিক বিচ্ছেদ-পরবর্তী নানা গুঞ্জন এড়াতেই সম্ভবত এ রকম আড়াল বেছে নিয়েছেন। এখন আবার কোতিয়ার্দের সঙ্গে পিটের সম্পর্ক আছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি কোতিয়ার্দ।
কাহিনির প্রয়োজনে এ ছবিতে পিটকে ফরাসি ভাষায় কথা বলতে হয়েছে। কোতিয়ার্দের স্বামী এবং একজন ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে তিনি জার্মান দখলদারির মধ্যেই উত্তর আফ্রিকায় যান। কিন্তু আদতে দুজনই গোয়েন্দা এবং ক্যাসাব্লাঙ্কায় এক গুপ্তহত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত। কানাডীয়দের জন্যও পিটের চরিত্রটা বিভ্রান্তিকর। কারণ, তিনি এ ছবিতে একজন কানাডীয় পাইলটের ভূমিকা নিয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের পক্ষে কাজ করেন। আর কোতিয়ার্দ একজন ফরাসি গোয়েন্দার ভূমিকা নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি চরিত্রের নানা রকম জটিলতা নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। কারণ, এমন সব কাজের মধ্য দিয়ে একটা আকর্ষণীয় দুনিয়ায় পৌঁছে যাওয়া যায়।’
যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কোতিয়ার্দ বললেন, এ ছবিতে আগ্নেয়াস্ত্র ধরতে হয়েছে তাঁকে। অথচ বাস্তব জীবনে তিনি কখনোই হাতে নেননি এ রকম অস্ত্র। তাই শিখে নিতে হয়েছে অনেক কিছু। পরিচালক রবার্ট জেমেকিস এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ব্র্যাড পিটও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উপরন্তু তাঁকে ফরাসি ভাষাও শিখে নিতে হয়েছে। কুইবেকের উচ্চারণ এবং মূল ফরাসি উচ্চারণ—দুটোই রপ্ত করে অ্যালাইড ছবিতে প্রয়োগ করতে হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে নিরলস পরিশ্রমী ছিলেন তিনি।
কোতিয়ার্দের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। তাঁকে বরং ইংরেজি উচ্চারণ রপ্ত করতেই বেগ পেতে হয়। তবে বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করে তিনি এটা বেশ সামলে নিয়েছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.