ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন: ৫১ বছরেও যেভাবে সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন ঐশ্বরিয়া

একসময়ের বিশ্বসুন্দরী তিনি। আজ ৫১ বছরে পা দিলেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। তবুও তার রূপের জেল্লা এতোটুকুও কমেনি। ঐশ্বরিয়ার সৌন্দর্য নিয়ে অনেকেরই নানা জল্পনা-কল্পনা আছে। অনেকেরই ধারণা, ঐশ্বরিয়া নিশ্চয়ই প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন!

তবে এসব কথায় গুরুত্ব না নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ত্বকে কোনো সার্জারি করেননি। বরং তিনি অনেক ভাগ্যবতী যে, জন্ম থেকেই গ্লোয়িং স্কিন পেয়েছেন।

খাদ্যাভাস ও প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার মাধ্যমেই তিনি সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন। তিনি আরও জানান, নিজের সৌন্দর্যের বিষয়ে কখনো ছাড় দেন না। এজন্য খুব স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করেন।

বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবারের বিষয়ে খুবই মনোযোগী তিনি। ভাজা খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার, অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে বরাবরই দূরে থাকেন এই নায়িকা। প্রচুর পরিমাণে ফল-মূল ও শাক-সবজি (ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও খনিজের জন্য) খান।

পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ঘরে রান্না করা খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন ঐশ্বরিয়া। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নায়িকা পরামর্শ দিয়েছেন, শাক-সবজি ও ফল-মূল খাওয়ার বিকল্প নেই। আপনার ত্বককে সর্বদা তরুণ ও সুন্দর রাখতে এগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের সাহায্যে রূপচর্চা করেন তিনি। বেসন, দুধ ও হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করেন। এসব উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দই ও শসার রস ত্বকে ব্যবহার করেন।

প্যাকটজাত প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়েই রূপচর্চা করে থাকেন তিনি। এ কারণেই তার ত্বকের বয়স বাড়েনি। শুধু সৌন্দর্যচর্চায় নয় ফিট থাকতেও তিনি প্রচুর শাক-সবজি ও ফল-মূল খান। এমনকি নিয়ম করে ঘরে কিংবা জিমে ঘাম ঝরান।

ঐশ্বরিয়ার প্রিয় কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে- ম্যাক, ল্যাকমে, রেভলন ও মেবেলিন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় চোখে আইলাইনার ও মাশকারা অবশ্যই ব্যবহার করেন তিনি। ঠোঁটে লিপস্টিক, ব্লাশন হিসেবে গালে গোলাপি, পিচ ও বাদামি রঙের শেডগুলো ব্যবহার করতে পছন্দ করেন ঐশ্বরিয়া।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.