ইউএস-বাংলা’’র বিমান বহরে আরেকটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট সংযোজন
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে গত ১ মার্চ আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করার মধ্য দিয়ে এশিয়ার অন্যতম এয়ারলাইন্স হওয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকল। ১৬৪ আসন বিশিষ্ট বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে যুক্ত হওয়ায় অধিক আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারী বিমান সংস্থা। ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে দ্রুতগতি সম্পন্ন দু’টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে যশোরে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সহ বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ছয়টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং এ ৮টি বিজনেস ক্লাস ও ইকোনমি ক্লাসসহ মোট ১৬৪টি আসন ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ৭৬ আসনবিশিষ্ট তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফটে রয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০টির অধিক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। যাত্রা শুরু করার পর আড়াই বছরে প্রায় ২২ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যা বাংলাদেশে বিমান চলাচলের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কুয়ালালামপুর, মাস্কাট, কলকাতা ও কাঠমুন্ডু সহ অভ্যন্তরীন রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।
“ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ” স্ল্গোান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, অধিকতর আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারনের লক্ষ্যে এ বছর আগষ্ট মাসের মধ্যে আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আগামী ৯ মার্চ থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। খুব শীঘ্রই ব্যাংকক, দোহা, গুয়াংজুসহ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত দুই বছরে সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দু’বছর বাংলাদেশের ডমেস্টিক সেক্টরে “বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্যা ইয়ার” এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে অন-টাইম ফ্লাইট অপারেশন, আন্তর্জাতিক মানের কেবিন সার্ভিস, উন্নত মানের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারনের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউএস-বাংলা’র সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা ৯৮.৭ ভাগ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের তৃতীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ রিসিভিং অনুষ্ঠানে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,“ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে সম্মানিত যাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য করনীয় সকল কিছু আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উপনীত করাই আমাদের লক্ষ্য। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্স গুলোর মধ্যে স্বীকৃত সেরা এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা অদূর ভবিষ্যতে এশিয়ার শ্রেষ্ট এয়ারলাইন্স এর স্বীকৃত অর্জনই হবে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। যা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সুনাম অর্জনে সহায়ক হবে।” ইউএস-বাংলা’র এয়ারলাইন্সের অগ্রযাত্রায় সম্মানিত যাত্রী সাধারন, ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাসমূহ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সব ধরনের সংবাদ মাধ্যমের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
