মো. কামরুল ইসলাম, এভিয়েশন নিউজ: সেবাই প্রথম। যাত্রী সর্বদাই সঠিক। সময়ানুবর্তিতা। বিশ্বাসস্থতা। উন্নত প্রযুক্তি। সঠিক দিক নিদের্শনা। সঠিক বিমান ক্রয়। সঠিক রুট পছন্দ। অভিজ্ঞ জনশক্তি। আরো অনেক ফ্যাক্টর জড়িত এই ব্যবসায় সমৃদ্ধ লাভের জন্য। প্রতিটি ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি জড়িত। কিন্তু ব্যবধান বা আনুপাতিক হারই বা কতটুকু? লাভ হয় টাকায় আর ক্ষতি হয় ডলারে। একটু ব্যাখ্যা না করলে অনেকের কাছে বোধগম্য নাও হতে পারে। একমাত্র প্লেন আকাশে উড়লেই আয়ের আশা সম্ভব কিন্তু কোন কারনে বা টেকনিক্যাল কারনে প্লেন আকাশে না উড়লে আয়ের কোন সুযোগ নেই। অথচ কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ এই খাতে।
প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ছাড়া এই খাতে উন্নতি একেবারেই অসম্ভব। সহযোগিতার সকল ধাপই জড়িত সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, কাস্টমস্, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোসহ আরো সরকারী নানা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে সরকারী বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর উন্নতির পরিবর্তে অবনতিই লক্ষণীয়। এর পিছনে হাজরো যোক্তিক কারন রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব, বিভিন্ন সময় সরকারের নীতি নির্ধারকদের ইচ্ছে মাফিক সিদ্ধান্ত সরকারী বিমান সংস্থার উপর চাপিয়ে কর্পোরেট ক্ষতির বোঝা দিন দিন বাড়িয়ে চলছে।
১৯৯৬ সালে বেসরকারী বিমান চলাচলের উপর মহান ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করলে সর্বোসম্মতিক্রমে পাশ হয়। তখন বেসরকারী এয়ারলাইন্সের ব্যবসা পরিচালনা সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল অসংখ্য ব্যবসায়িক অসংগতি। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে পরবর্তীতে ব্যবসা বান্ধব সরকারগুলোর সহযোগিতায় আজ বেশ কয়েকটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে চলাচল করছে।
এ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী এয়ারলাইন্স, যা বেসরকারী বিমান পরিবহন ব্যবসার পথপ্রদর্শক। এয়ারক্রাফট পছন্দের সাথে আর্থিক অপ্রতুলতা থাকায় এয়ারলাইন্সটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সেই ১৯৯৮ সালে। একই সময়ে এয়ার পারাবাত নামক আরো একটি বেসরকারী এয়ারলাইন্সের শুরু এবং শেষের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র দু’বছর। অনেক আধুনিকতার স্পর্শ আর অভিজ্ঞ জনশক্তি নিয়ে শুরু করা জিএমজি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিএমজি এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করে ১৯৯৮ সালের ৬ই এপ্রিল। অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা এয়ারলাইন্সটি অবশেষে ২০১২ সালের শুরুইে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০৭ সালের ১০ জুলাই সম্পূর্ন নতুন ধারনা নিয়ে শুরু করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সরাসরি বিনিয়োগে এ দেশে কোন রকম ব্যাংক লোন ছাড়া বিমান পরিবহন ব্যবসা শুরু করা যায় যা ইতিপূর্বে একটি অকল্পনীয় ব্যাপার ছিলো। এই ব্যাপারটিই সম্ভব করেছে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী। একই সময়ে রয়েল বেঙ্গল এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশী রেজিস্টার্ড এভিয়ানা এয়ারওয়েজ এবং যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত বেস্ট এয়ার শুরু থেকে বছর ঘোরার আগেই কোম্পানী দু’টি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। কারন ছিল সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক দূরাবস্থার । বিভিন্ন সময়ে মালিকানা পরিবর্তন করে বেস্ট এয়ারকে পরিচালনায় আনতে চেষ্টা করা হয় কিন্তু সম্ভব হয়নি।
বছর তিনেক হতে চলল বাংলাদেশী হাবিব গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এবং ২০১৩ সালে বছর যাত্রা শুরু করা নভো এয়ারসহ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ সময়োপযোগী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সূত্র মতে খুব শীঘ্রই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নামে আরো একটি বিমান পরিবহন আতপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এপিক এয়ার নামে আরো একটি এয়ারলাইন্স এর কথা জোড়েশোরে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আরো কিছু এয়ারলাইন্স এদেশে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে আপ্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে সাউথ এশিয়া এয়ারওয়েজ, রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স, নেপচুন এয়ারলাইন্স উল্লেখযোগ্য।
উপরোক্ত লেখনীর মূল উদ্দেশ্য কয়েকটি কারনে, যা পরবর্তী লেখনীতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন জার্নালিস্টদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত কিংবা কি হওয়া উচিত নয় এই ব্যাপারটি নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। পূর্বে প্রতিটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইকোনোমিক এবং কমার্স বিট যেসব সাংবাদিকরা করতেন তারাই সাধারনত এভিয়েশন বিট করতেন। যখন এদেশে সরকারী এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি বেসরকারী এয়ারলাইন্সের পরিধি বাড়তে থাকল এবং বিদেশী এয়ারলাইন্সের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে শুরু করল তখন থেকেই এভিয়েশন জার্নালিজম একটা আলাদা ব্যাপার হতে থাকল।
এভিয়েশন, ট্যূরিজম, হসপিটালিটি নিয়ে রীতিমত উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা কোর্স চালু হয়েছে। বর্তমানে এভিয়েশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন তৈরী করা হয়েছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে। এখন ধীরে ধীরে ডিজিটাল যুগে অন লাইন পত্রিকার দৌরাত্যও দেখতে পাচ্ছি। পুরো ব্যাপারটিই এখন পূর্বের থেকে অনেক এগিয়ে। কোন কোন এভিয়েশন জার্নালিস্ট নিজেকে তার এভিয়েশন লেখার ব্যাপকতার মাধ্যমে অনেক আলোচিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আলোচিত হওয়ার জন্য সমালোচিত হওয়া ও একটা মাধ্যম।
একটি অনলাইন পত্রিকা খুললেই দেখি পজিটিভ বাংলাদেশ এর পরিবর্তে নেগেটিভ বাংলাদেশ। দু’একটি উদাহরন না দিলে বক্তব্যটি অসম্পূর্ণ মনে হবে। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অবঃ) জামাল উদ্দিন আহমেদ। একজন উচ্চ পদস্থ সিনিয়র সিটিজেন যিনি একসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চীফ অব স্টাফ ছিলেন, তাকে নিয়ে যাচ্ছে তাই বক্তব্য উপস্থাপন করে চলেছে সত্যিই তা অমার্জনীয়, যা সাংবাদিকতা কিংবা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার মাত্র। যার কারনে গোটা সংবাদ ব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছুদিন আগে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইমরান আসিফ পদত্যাগ করেছেন কোম্পানী থেকে।
এটা কর্মকর্তা এবং কোম্পানীর একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এখানে মিডিয়ার কোন পক্ষপাতিত্বের কিছু আছে বলে মনে হয় না। পরবর্তীতে বাংলাদেশ বিমানের একজন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এ মোমেন সিইও হিসেবে রিজেন্ট এয়ার এ যোগদান করেছেন। সেখানেও নেগেটিভ কমেন্টস্ করতে ছাড়েননি উক্ত অন লাইন পত্রিকাটি। এ দেশের এখন পর্যন্ত পরিবহন ব্যবসায় সফল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে তো রীতিমত গরুর গাড়ীর সার্ভিস বানিয়ে দিচ্ছে উক্ত নিউজ এজেন্সী। নিউজ এজেন্সীগুলোর নিউজ তখনই গ্রহনযোগ্যতা পায় যখন অন্য মিডিয়া গুলো উক্ত খবরগুলো নিয়ে তাদের পত্রিকায় পাবলিশ করে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের অগ্রযাত্রা কোনো কারনে আদৌ পছন্দ হচ্ছে না তাদের। সত্যিই দুঃখজনক।
একটা এয়ারলাইন্স প্রায় সাত বছরে একটা ৩৭ আসনের বিমান থেকে ২৫০ আসনের দু’টি এয়ারবাসসহ মোট এগারোটি বিমান বহরে যোগ হয়েছে। এবং বাংলাদেশের বিমান পরিবহন সেক্টরে একমাত্র লিস্টেড কোম্পানী শেয়ার মার্কেটে। একেকটা নেগেটিভ নিউ্জ একেকটা পরিবারকে নিঃস্ব করার কারিগর। নেগেটিভ মনসতাত্তি¡ক ধারনা থেকে বের হয়ে পজিটিভ ধারনায় খবর তৈরী করলেও পাঠকদের গ্রহনযোগ্যতা পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস আছে আমাদের পাঠকদের। পাঠকদের পজিটিভ নিউজ দিন আপনার অনলাইনের গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে। কোন অযৌক্তি খবরের কারনে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিংবা এর উপর নির্ভরশীল শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায়ভার নিবে কে? নেগেটিভ সাংবাদিকদের কাছে আমাদের সকলের জিজ্ঞাসা।
উক্ত অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদন দেখলে মনে হতে পারে তিনি বোধহয় এভিয়েশন সেক্টরের নেগেটিভ সংবাদ পরিবেশনের লিজ নিয়েছেন। উনার দৃষ্টিতে বিমান পরিবহন সেক্টরে ভালো কিছু নেই, নেই কোন অগ্রযাত্রা। অথচ প্রতি বছর অভ্যন্তরীন সেক্টরে প্রায় ৭-৮% প্যাসেঞ্জার প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সরকারী বিমান সংস্থা অভ্যনÍরীণ অধিকাংশ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক আগেই তারপরও এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই বেসরকারী বিমান সংস্থার কৃতিত্ব।
চোখ বন্ধ না করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখুন সব অন্ধকার নয় আলোকিত হয়ে উঠছে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাট্রিজ। প্রতিদিন তিনটি বিমান সংস্থার প্রায় দু’হাজার যাত্রী অভ্যন্তরীন রুটে যাতায়াত করছে। অথচ একজন এভিয়েশন জার্নালিস্ট (নিজস্ব অভিব্যক্তি) দু’একজনের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই একটি এভিয়েশন কোম্পানীকে গরু গাড়ী বানিয়ে দিচ্ছে। আজকাল আবার সেই সাংবাদিক ব্লগারদের একান্তই নিজস্ব বক্তব্যকে নিজের লেখা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। ব্লগার প্রতিবাদ হিসেবে সাংবাদিক, উক্ত অন লাইন পত্রিকার সম্পাদক বরাবর প্রতিবাদ ও পাঠিয়েছেন। কিন্তু নূন্যতম সৌজন্যতাবোধও দেখানোর প্রয়োজনবোধও করেনি উক্ত সাংবাদিক কিংবা কর্তৃপক্ষ। উক্ত অনলাইনে হেড লাইন দেখতে পাচ্ছি হুমকির মুখে প্লেনের ভাড়া পরিশোধে বাধ্য হলো রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। উপরোক্ত নিউজ হেড লাইনের মতো আরো কিছু হেড লাইন পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো- ‘নড়বড়ে মানহীন প্লেন, ঘুষ দিয়ে হজ ফ্লাইট চায় ইউনাইটেড।’ ‘প্লেন আনতে লটবহরসহ জামাল উদ্দিনের প্রমোদ ভ্রমণ।
‘তাসবিরের সেলামী ৪১ লাখ টাকা’। ‘লটবহরসহ রাঙাপ্রভাত ঢাকায়’। ‘কেভিনের বিমান ছাড়ার নেপথ্যে জামালের ষড়যন্ত্র!’ ‘বিপদজনক উড্ডয়নে রিজেন্ট, প্রাণহানির শন্কা।’ ‘বোয়িং অচলে রিজেন্টের শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রী ভোগান্তি চরমে।’ ‘রিজেন্টের ফ্লাইট ফিরিয়ে দিলো মায়ানমার।’ রিজেন্টের ঝুঁকিপূর্ন প্লেন গ্রাউন্ডেড করলো বেবিচক।’ ‘বকেয়া পাওনা দিয়ে এওসি মিললো ইউনাইটেডের।’ ‘ইউনাইটেডের টাকা তোলায় বাধ সাধল বেবিচক।
‘ইউনাইটেড এয়ারের দূর্নীতির খোঁজে দুদক।’ ‘বিমান বন্দরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নভোএয়ার।’ ‘দেনা ও লোকসানের ভারে জর্জরিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।’ ‘এয়ারবাস বিকলে কমিশন বাণিজ্য বিমানে।’ ‘ইউনাইটেডের ট্যাক কৌশল, ৬০ লাখে পাইলট ও চাকরি!’ উপরোক্ত সংবাদগুলো কি সাধারন পাঠকদের জন্য কোন সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে নাকি কোম্পানীর প্রতি যাত্রীদের বিরূপ ধারনা তৈরী করবে? এয়ারলাইন্সের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরী না করে এয়ারলাইন্সগুলোকে পরামর্শ দিন যেন যাত্রীরা ভালো সেবা এবং সাথে কোম্পানীগুলো সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।
শুধু সমালোচনা নয় যদি ভালো কোনো পরামর্শও এভিয়েশন জার্নালিস্টদের কাছে থেকে থাকে, তা সরকারী-বেসরকারী বিমানসংস্থাকে দিন তাতে এয়ারলাইন্স উপকৃত হবে, উপকৃত হবে যাত্রীসাধারন। সর্বোপরি সফলতা আসবে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন সেক্টরে। চলুন হ্যা কে হ্যা এবং না কে না বলতে শিখি। হলুদ সাংবাদিকতা কিংবা অপসাংবাদিকতা থেকে দূরে থাকি। নেগেটিভ সংবাদকেও পজিটিভ ভাবে উপস্থাপন করার মানসিকতা তৈরি করি। আজ থেকে প্রায় পচিশ-ছাব্বিশ বছর আগে একটি অখ্যাত পত্রিকায় বড় বড় করে লিখা- “আট রশি পীরের বিচার হবে” এই হেড লাইন দেখে সবাই হুমরি খেয়ে পড়ছে পত্রিকা কেনার জন্য।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিবেদনের শেষে লিখা আট রশি পীরের বিচার হবে আল্লাহর দরবারে। প্রতিটি সংবাদই হোক বক্তব্যধর্মী। বাংলাদেশের বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলোর সিরিজ নেগেটিভ নিউজ বিদেশী এয়ারলাইন্সকে উৎসাহিত করবে, নেগেটিভ ধারনা জন্ম নিবে। দেশকে, দেশের ব্যবসায়িক কোন প্রতিষ্ঠানকে অযাচিতভাবে হেয় করার অধিকার কারো আছে বলে মনে হয় না। সংবাদ প্রকাশে সতর্ক হই। ভালো সংবাদের প্রত্যাশায়।