বিয়ের পর প্রথম অনস্ক্রিন দম্পতি রণবীর-দীপিকা।
অফস্ক্রিনের দম্পতি এ বার অনস্ক্রিনেও। সৌজন্যে কবীর খান পরিচালিত ‘এইট্টি থ্রি’। এই ছবিতে কপিল দেবের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রণবীর সিংহ। অনস্ক্রিনে তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনকে। কপিলের স্ত্রী রোমি ভাটিয়ার চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে দীপিকা বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনও কাজের জায়গায় গুরুত্ব পাবে না। আমার তো মনে হয় না, কপিল দেবের চরিত্রটা অন্য কেউ করলে ভাল হত। তবে আমার বিপরীতে রণবীর না থাকলেও এই চরিত্রটা আমি করতাম।’’
বিয়ের পর এটাই রণবীর-দীপিকার প্রথম ছবি। ‘‘আসলে পেশাদার ক্ষেত্রে উল্টো দিকে স্বামী, ভাই বা অন্য কোনও প্রিয়জন রয়েছে কিনা সেটা বড় বিষয় নয়। শুধুমাত্র কাজের প্রতি সত্ থাকা দরকার’’ শেয়ার করেছেন দীপিকা।
এতদিন ‘ছপক’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন দীপিকা। তাই খুব ভাল সময়ে ‘এইট্টি থ্রি’-র অফার তাঁর কাছে এসেছে বলে মনে করেন। ৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের একটার পর একটা উইকেট চলে যেতে দেখে নাকি স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কপিলের স্ত্রী রোমি। পরে ফের ভারতের জয়ের সম্ভাবনাক তৈরি হলে নাকি তিনি স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন। এই অংশটি নাকি খুবই নাটকীয় ভঙ্গিতে দেখানো হবে এই ছবিতে।
এই ছবির জন্য শুধুমাত্র ১৯৮৩-তে ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের মুহূর্ত নয়। রণবীর আয়ত্ত করছেন কপিলের সব ম্যানারিজম। এই ছবির ক্রিকেটের অংশের শুটিং হবে আসন্ন অগস্টে। ফলে তার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এখনও কিছুটা সময় রয়েছে রণবীরের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘বলবিন্দর সিংহ সাঁধু স্যার আমাদের ট্রেনিং করাচ্ছেন। উনি বলেছেন, আগের থেকে উন্নতি হয়েছে আমার। প্র্যাকটিসের ভিডিয়ো যাঁদের দেখিয়েছি, সকলেই প্রশংসা করেছেন।’’
স্কুলে পড়ার সময় ক্রিকেট খেলতেন রণবীর। কিন্তু তার সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয়ের সময় ক্রিকেট খেলার অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। ছবির জন্য ক্রিকেটের অনেক টেকনিক রপ্ত করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানিয়েছেন, চিত্রনাট্য পড়েই অনেক উদ্ধুদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ টিমের ওপর কেউ ভরসা করতেন না। সেই জায়গা থেকে বিশ্বজয় করে দেখিয়েছিলেন কপিলের ছেলেরা।
রণবীর-দীপিকা ছাড়াও সাকিব সালেম, হার্জি সাঁধু, চিরাগ পাটিল অভিনয় করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। সব কিছু ঠিক থাকলে ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২০-এর ১০ এপ্রিল।