এভিয়েশন নিউজ: বিমান বালাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আগামী অক্টোবর মাসে যোগ দিচ্ছেন কাইল হেউড। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনাপত্তিপত্র পেতে দেরি হলে পরের মাস নভেম্বরে যোগ দিতে পারেন তিনি। ব্রিটিশ নাগরিক কাইলকে সম্প্রতি বিমানের এমডি হিসেবে নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
এখন তার চাকরির শর্ত ও অন্যান্য বিষয়ে সবকিছু চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়া শেষে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে তিনি বিমানে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
কাইলের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বিমানের সাবেক এমডি কেভিন স্টিলের চেয়ে কম। বেতন ও অন্যান্য সুবিধা মিলিয়ে ব্রিটিশ নাগরিক কেভিন স্টিলের পেছনে বিমানের খরচ ছিল প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
নতুন এমডি কাইলের বেতন ও সুযোগ সুবিধা ২২ লাখ টাকার কাছাকাছি। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কাইল বিমান চলাচল খাতে ২৫ বছরের অভিজ্ঞ। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার লো কস্ট এয়ারলাইন্স ফাস্টজেটের প্রধান নির্বাহী হিবেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার উগান্ডা, এয়ার এরাবিয়াসহ বিভিন্ন এয়াররাইন্সে কাজ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে কেভিন স্টিল গত ১৭ এপ্রিল বিদায় নেন। কেভিন বিদায় নেওয়ার আগেই বিমান এই পদে লোক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়।
আবেদন পড়ে ৪০টি। এর মধ্যে ২৬ জন বিদেশি ও ১৪ জন দেশীয় বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ এ পদের জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে কাইলসহ আরেক ব্রিটিশ নাগরিক ও একজন কানাডিয়ানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
দেশীয় আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন; বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এয়ার কমোডর (অব:) জাকীউল ইসলাম, সাবেক এমডি মাহমুদুর রহমান, বিমানের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) মেজর (অব:) আবদুস সালাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর (অব:) ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
এই পদে বিমান চলাচল খাতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কোনো এয়ারলাইন্সের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার কথা উল্লেখ ছিল।
কেভিন স্টিল ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিমানে যোগ দেন। দুই বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছরের মাথায় তাকে বিদায় নিতে হয়। কেভিন বিমানকে দুই বছরের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। আর তার এক বছরের মধ্যে বিমান লোকসান দেয় ২১৪ কোটি টাকা।