কক্সবাজার ফ্লাইটে লাঞ্চ দেবে ইউএস-বাংলা

US-Bangla-Airlinesএবার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে দুপুরের খাবার (লাঞ্চ) পরিবেশন শুরু করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। মে মাস থেকেই ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে দুপুরের খাবার দেবে বেসরকারি এই প্রধান এয়ারলাইন্সটি। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এ ধরনের ব্যবস্থা এই প্রথম।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। নিজস্ব ক্যাটারিংয়েই তৈরি হবে এই খাবার।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকা-কক্সবাজার রুটটি দেশের ভেতরে সবচেয়ে বেশি সময়ের ফ্লাইট টাইম। আকাশেই প্রায় ঘণ্টা খানেক লেগে যায়। এছাড়া ফ্লাইট শিডিউলের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানো, গন্তব্যে পৌঁছেও পথে কেটে যায় অনেকটা সময়। এ সব মিলিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময়।

ফ্লাইট শিডিউলটাই এমন যে, তাতে দুপুরের খাবারের সময় পার হয়ে যায়। আর সে কারণেই যাত্রীদের দুপুরের খাবার দিয়েই আতিথিয়তা করতে চাই, বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।

ঢাকা থেকে বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট। আর কক্সবাজার থেকে তা ছেড়ে আসে বেলা ১ টা ৫৫ মিনিটে।

মামুন বলেন, ঢাকায় সাড়ে ১২টায় যাত্রা করতে যাত্রীদের ১১টার আগেই ঘর থেকে বের হতে হয়। আর কক্সবাজার দিয়ে দেড়টা নাগাদ পৌঁছে হোটেল বা গন্তব্যে যেতে আড়াইটাও বেজে যেতে পারে। এতে লাঞ্চের সময়টি পার হয়ে যায়। তাই ক্ষুধার্ত হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক।

আর কক্সবাজার থেকেও ঢাকার পথে ফ্লাইট বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে যার জন্য সোয়া একটার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হয়। আর রওয়ানা দিতে হয় তারও এক ঘণ্টা আগে। ফলে সেখানেও লাঞ্চ করে ফ্লাইটে ওঠা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।

যাত্রীদের ক্ষুধার্ত রাখতে চায় না ইউএস-বাংলা, বলেন তিনি।

ইউএস-বাংলা অবশ্য ফ্লাইট অপারেশনের শুরু থেকেই সকল রুটেই ইন-ফ্লাইট খাবার দিয়ে আসছে। কক্সবাজার রুটে অত্যন্ত সুস্বাদু ও ফ্রেশ একটি বার্গার, এক পিস কেক ও একটি লজেন্স দেওয়া হয়।

যাত্রীরা তাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন, কিন্তু ইউএস-বাংলা তার যাত্রীদের দুপুরের খাবার না খাইয়ে রাখতে চায় না। দুপুরে পূর্ণাঙ্গ লাঞ্চই তাদের দিতে চায়, বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।

ভালো যাত্রীসেবা, সু-স্বাদু খাবার, সময় মাফিক চলাচল এসব কারণে ইউএস-বাংলা এরই মধ্যে যাত্রীদের মাঝে সুনাম কুড়িয়েছে। দুপুরের খাবার দেওয়া হলে তা যাত্রীদের ভালোই লাগবে। আর এর মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো চালু হবে এই খাবারের ব্যবস্থা, যা ইউএস-বাংলাকে এগিয়ে রাখবে, বলেন এয়ারলাইন্সটির একজন নিয়মিত যাত্রী।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.