যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে চুরি হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বুধবার এ টাস্কফোর্স গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমানকে টাস্কফোর্সের প্রধান ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। চুরি হওয়া রিজার্ভ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করাই হলো টাস্কফোর্সের প্রধান কাজ। টাস্কফোর্সের ছয়দফা কার্যপরিধি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে চুরি যাওয়া টাকাদেশে ফেরত আনাতে সংশ্লিষ্টদেশগুলোর আইনগত অবস্থা পর্যালোচনা ও সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে এই টাস্কফোর্স । প্রয়োজনে সেসব দেশের আইনগত সহায়তা গ্রহণ করবে। এই অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা এবং প্রয়োজনে এসব সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করবে তারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) মেসেজিং সিস্টেমে ‘ভুয়া’ বার্তা পাঠিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়। বানান ভুলের কারণে শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অধিকাংশ ক্যাসিনোয় যাওয়ার পর দেশটি থেকে পাচার হয়ে যায় গণমাধ্যমে খবর এসেছে। বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটি। এরই মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ অর্থ উদ্ধার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সরকারকে জানিয়েছেন। তবে বাকি অর্থ উদ্ধারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। নবগঠিত টাস্কফোর্সকে চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য দেশগুলোর আইনগত অবস্থা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।