প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রে একাধিক বৈঠকে থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ কথা স্বীকার করেছে। তিনি নিজে যে বৈঠক করেছেন সে সংক্রান্ত কিছু দালিলিক প্রমাণাদি এরই মধ্যে তার হেফাজত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এ ষড়যন্ত্রে অংশ নেন এবং পরবর্তী সময়ে একটি মেইলের মাধ্যমে জয়ের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়া আরেক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফেডেক্স এক্সপ্রেসের মাধ্যমে জয়ের যাবতীয় তথ্য হাতে পান। তবে মাহমুদুর রহমানের কাছে আর কী ধরণের তথ্য আছে তা জানতে তাকে রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ২৫ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সামনে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শফিক রেহমানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার আগে রমনা থানায় একটি জিডি হয়েছিল। সেই জিডির প্রেক্ষিতে মামলা হয়। প্রথম দিকে মামুন ও রিজভি আহমেদ সিজারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরো দুজন এফবিআই সদস্যের দণ্ড হয়। ২০১২ সালে শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা পরিকল্পনার এক পর্যায়ে সেখানে বৈঠক করেন। তিনি কয়েক দফা বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুলিশের কাছে আছে।
জয় কোথায় থাকতো, তার গাড়ি নম্বর, গাড়ির ধরণ ও কোথায় কোথায় যেত তা এফবিআই সদস্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সিজার বাংলাদেশে ফেডারেল এক্সপ্রেস ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানের কাছে পাঠায়। ঘটনাস্থল হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই অধিকতর তদন্তের জন্য সেখানে গিয়ে তদন্ত করলে আরো বিস্তারিত কিছু পাওয়া যাবে।’
হত্যা পরিকল্পনার এজাহারে বিএনপির হাই কমান্ড পর্যায়ের কেউ জড়িত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই হাইকমান্ড নেতা তারেক রহমান কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাই কমান্ড বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে, তা তদন্ত করে বের করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেকের সঙ্গে সিজার অথবা দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য কারো যোগাযোগ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রে ও বাংলাদেশে আর কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’