দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০ দলীয় জোটের পরিধি বাড়াতে চায় প্রধান শরিক বিএনপি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোটের সমন্বয়ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
বিএনপি ঘনিষ্ট জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদসহ সব রাজনীতিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
২০ দলীয় জোটের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ-ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছে। আমরা জোটের পরিধি বাড়াতে চাই। সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে নিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে চাই।’
এর আগে, গত ২৩ মার্চ রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট শরিক জাগপার অঙ্গ সংগঠন যুব জাগপার এক আলোচনা সভায়ও জোট সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেন মির্জা ফখরুল।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে দেশবাসীর ওপর একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্বৈরতন্ত্রের বাধা সরাতে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টিতেই জোটের পরিধি বাড়ানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট গঠিত হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ১৮ দলীয় জোট গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনে এসে যোগ দেন কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ১৯ দলীয় জোটে পরিণত হয়। পরবর্তীতে সাঈদ আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল জোটভুক্ত হলে তা ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়।
তবে জোট শরিকদের অবমূল্যায়ন ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ ও মতবিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময় জোটে সঙ্কটেরও সৃষ্টি হয়। ফলে জোট থেকে বিভিন্ন সময় একাধিক দল বেরিয়েও যায়।