করোনাভাইরাস পরিস্তিতির কারণে বিকাশ, রকেটের মতো সেবার ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। সক্রিয় হিসাব, গ্রাহক সবই বেড়েছে। কারণ পোশাকশ্রমিকদের বেতন, সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সেবা ব্যবহার একরকম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্ন আয়ের মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের বড় অংশ করেন। গত এপ্রিলে তাদের বেশির ভাগের আয় বন্ধ ছিল। যার প্রভাব পরেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গত জানুয়ারিতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয় ৪১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। মার্চে তা আরও কমে হয় ৩৯ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে এসে তা আরও কমে হয় ২৯ হাজার ২৯ কোটি টাকা।
মার্চের তুলনায় এপ্রিলে লেনদেন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদে’র তথ্য এই হিসাবে আসেনি।