করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ-কুয়েত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হচ্ছে।
আর ফ্লাইটগুলো চলবে ৩ ধাপে। তবে, প্রথম ধাপে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়নি কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদ।
ফলে দেশটিতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা এখনই দেশে ফিরতে পারছেন না।
কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ ফ্লাইটে এরইমধ্যে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (৩ জুলাই) রাতে দোহা থেকে বিশেষ ফ্লাইট ৩৮৫ জন বাংলাদেশি ঢাকা পৌঁছান।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ১৭টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যের মধ্যে এখন কেবল লন্ডন ও চীনে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল করছে।
আর ঢাকা থেকে কাতারে ট্রানজিট-যাত্রীরা চলাচল করতে পারছেন। এই অবস্থায় বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
কিন্তু নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরু না হলে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক সবাই সুযোগ পাবেন না। এছাড়া বিশেষ ফ্লাইটে খরচও বেশি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কুয়েত ৩ ধাপে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করছে। দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলাপ হবে।
আর বিশেষ ফ্লাইট আয়োজনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সবসময়ই কাজ করছে।’
জানা গেছে, ১ আগস্ট কুয়েত থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু শুরু হবে। প্রথম ধাপে প্রতিদিন ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
আর এক ফ্লাইট থেকে অন্য ফ্লাইটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকবে এক ঘণ্টা।
দ্বিতীয় ধাপের ফ্লাইট শুরু হবে আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ৬ মাস।
এই সময় বিমানবন্দরে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ ফ্লাইট চলবে। যাত্রীর হবে প্রায় ২০ হাজার।
আর তৃতীয় ধাপের ফ্লাইট চলবে আগামী বছরের ১ আগস্ট থেকে। এই ধাপে প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি যাত্রী আসা-যাওয়া করবে। আর প্রতিদিন ফ্লাইট চলবে ৩০০।