করোনায় বন্ধ থাকা দেশের তিন বিমানবন্দর চালু হচ্ছে
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে মাসখানেক ধরে।
কিন্তু যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তা বাড়তে পারে- এমন আশায় বন্ধ থাকা আরও
তিনটি বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চলছে।
এর মধ্যে বরিশাল বিমানবন্দর চালু হচ্ছে রবিবার।
রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দরও ঈদের আগে চালু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান
চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদে
দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের যাতায়াত বাড়বে।
তাই বন্ধ থাকা আরও তিনটি বিমানবন্দর- বরিশাল, রাজশাহী ও কক্সবাজারকে চালুর প্রস্তুতি চলছে।
এর মধ্যে রবিবার থেকে বিমান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বরিশাল বিমানবন্দর।’
করোনাভাইরাস ঠেকাতে গত ২১ মার্চ থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল বেবিচক।
তবে গত ১ জুন ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে সীমিত পরিসরে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেওয়ার শর্তে
ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিয়মানুযায়ী অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ৭৪ আসনের উড়োজাহাজে ৫০ জনের মতো যাত্রী বহনের কথা।
কিন্তু প্রতি ফ্লাইটে গড়ে যাত্রী মিলেছে ২৭ থেকে ৩০ জন। এ সময়ে ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
প্রথম দিকে টিকিটের মূল্যে ছাড় দিয়ে যাত্রী পাওয়ার চেষ্টা করেছিল বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো। কিন্তু যাত্রীদের ভীতি দূর হয়নি। পরে সব রুটেই
সর্বনিম্ন ভাড়া ২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু যাত্রী না পাওয়ায় লোকসানের বোঝা ভারী হচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকা থেকে চারটি রুটে বেসরকারি ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের প্রতিদিন ৪৮টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা।
কিন্তু যাত্রী সংকটে প্রতিদিনই একাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম রুটে খুব একটা যাত্রী মিলছে না। কারণ বন্দরনগরীর করোনা পরিস্থিতি দিন দিনই অবনতি হচ্ছে। এ ছাড়া যশোরে শুরুতে যাত্রী পাওয়া গেলেও খুলনা বিভাগের করোনা পরিস্থিতির বেশ অবনতি হওয়ায় তা কমে এসেছে। তবে সৈয়দপুর রুট তুলনামূলক কিছুটা ভালো। কারণ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর মধ্যে ঢাকা-সৈয়দপুরের দূরত্ব সবচেয়ে বেশি। দ্রুত নিরাপদে যাওয়ার কারণে এ রুটে যাত্রী কিছুটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যপারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ভয় বাড়ছে। বিদেশ থেকে দেশে আসছেন কম যাত্রী। তা ছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়নি। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করছেন না। তবে কোরবানির ঈদে দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশে বাড়বে বিভিন্ন যাত্রীদের যাতায়াত। বরিশাল, রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দরগুলো চালু হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।’