পর্যাপ্ত চলতি মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা (গোয়িং কনসার্ন) এয়ার এশিয়ার আছে কিনা, সে বিষয়ে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সংশয়’ রয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের নিরীক্ষক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং। আগে থেকেই
ঋণের ভারে নুয়ে পড়া আকাশসেবা সংস্থাটির সংকট আরো বাড়িয়েছে নভেল করোনা। মহামারীটির কারণে বৈশ্বিক
ভ্রমণ খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে মালয়েশিয়াভিত্তিক এয়ার এশিয়ার আয়ও কমে গেছে। এসব বিবেচনায়
নিয়েই কোম্পানিটির গোয়িং কনসার্ন সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং। খবর ব্লুমবার্গ।
২০১৯ সাল শেষে এয়ার এশিয়ার চলতি দায়ের পরিমাণ তার মোট সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৮৪ কোটি রিঙ্গিত
(৪৩ কোটি ডলার) বেশি দাঁড়ায়। গত বছর ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার নিট লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
করোনা প্রতিরোধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের আর্থিক পারফরম্যান্স ও নগদ অর্থপ্রবাহ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার কুয়ালালামপুর স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং।
নিজেদের কোয়ালিফায়েড অডিট ওপিনিয়ন স্টেটমেন্টে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং জানিয়েছে, ‘আকাশপথে যাত্রী পরিবহন
ও কোম্পানির আর্থিক পারফরম্যান্সের নিম্নগামিতা এটাই নির্দেশ করে যে এয়ার এশিয়া গ্রুপ ও কোম্পানি
উভয়েরই গোয়িং কনসার্ন অব্যাহত রাখার সক্ষমতা নিয়ে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সংশয় রয়েছে।’
করোনা কেবল এয়ার এশিয়াই নয়, বরং বৈশ্বিক এভিয়েশন খাতকেই সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সংক্রমণ
মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কারণে আকাশপথে
ভ্রমণের চাহিদা অনেক কমেছে। সোমবার নিজেদের আর্থিক প্রতিবেদনে এয়ার এশিয়া রেকর্ড ৮০ কোটি ৩৮ লাখ
রিঙ্গিত প্রান্তিকীয় লোকসানের কথা জানিয়েছে।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টনি ফার্নান্দেস বলেছেন, বাড়তি বিনিয়োগ টানতে তারা যৌথ উদ্যোগ
ও কোলাবোরেশনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এছাড়া কোম্পানিটি ব্যাংক লোনের জন্যও আবেদন করেছে এবং মূলধন বাড়ানোর প্রস্তাবনাগুলো খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।