অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থাগুলো জানিয়েছে, চরম ফ্লাইট সংকটের মধ্যে আরোপিত অ্যারাইভ্যাল চার্জ সিস্টেম সহজ করা না হলে করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ছয় মাস সময় লাগবে।
এয়ারলাইন্স রিপ্রেজেন্টেটিভ অব অস্ট্রেলিয়া (বিএআরএ) শুক্রবার জানিয়েছে, দেশে ফিরতে ইচ্ছুক নাগরিকের সংখ্যা এক লাখের বেশি। কিন্তু মাত্র ১৯ হাজার নাগরিকের সরকারি নিবন্ধন রয়েছে। করোনায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত হওয়ার কারণে মূলত এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। খবর অস্ট্রেলিয়ান এভিয়েশনের।
করোনায় বিদেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের বলা হয়েছিল যেকোনো সময় যে কেউ দেশে ফিরতে পারবে। এজন্য সরকারি কোয়ারেন্টিন সুবিধা গ্রহণের সময়সীমা গত শুক্রবার আবারও বাড়ানো হয়। তবে অ্যারাইভাল চার্জ, ফ্লাইট খরচ বৃদ্ধি ও সুযোগ-সুবিধা কমানোর বিষয়গুলো সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিএআরএ এয়ালাইন্স অস্ট্রেলিয়া থেকে বিদেশগামী ফ্লাইটের ৯০ ভাগই চালু রেখেছে। এদের মধ্যে কানতাস, ভারজিন, কাতার, সিঙ্গাপুর, ইতিহাদ ও এমিরেটসের মতো বিামন কোম্পানির ফ্লাইট রয়েছে।
বিএআরএ এয়ারলাইন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্যারি আবরামস বলেন, বর্তমানের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজারের কম নাগরিককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এখন প্রতি ফ্লাইটে মাত্র ৩০ জনকে আনা সম্ভব হচ্ছে। এভাবে চললে এক লাখ অস্ট্রেলিয়ানকে দেশে ফেরাতে ছয়মাস লেগে যাবে। আর যদি চলমান কঠোর চার্জ আরোপ পদ্ধতি সহজ না করা হয়, তাহলে চলতি বছরে বহু লোককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
অস্ট্রেলিয়ান নার্স ক্যাথারিন বলছেন, তার স্বামী পর্তুগাল থেকে ফিরতে পারছেন না। এ কারণে তিনি চার সন্তান নিয়ে দেশে বিপদে পড়েছেন। অথচ তাকে সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করতে হয়। ক্রিস নামে এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তিনি মালয়েশিয়া ত্যাগ করতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত তাকে গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। অ্যারাইভ্যাল চার্জ সহজ না করা হলে তাদের ভোগান্তি আরও পোহাতে হবে।
অ্যারাইভাল চার্জ যখন চালু হয়, তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছিলেন, এটা সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের দেশে ফিরতে পারবে যেকোনো সময়। কিন্তু ফ্লাইট সংকট এটা কঠিন করে ফেলেছে। তবে এটা অবাক করার মতো কিছু নয় বলে তিনি মনে করেন।