আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে পর্যটনশিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের পণ্যের আমদানি-শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। একই সঙ্গে তারা এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী ১০ বছরের জন্য কর-অবকাশ সুবিধা চেয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা বলেছে, প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের পর্যটন খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
টোয়াবের প্রস্তাবে বলা হয়, বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আমদানিপণ্যের ওপর শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক রয়েছে। এগুলো কমানো হলে সেবার মূল্য কমবে। পর্যটনশিল্পে ব্যবহারযোগ্য নতুন ও মেরামত করা বিলাসবহুল গাড়ি যেমনÑ মাইক্রোবাস, টুরিস্ট কোচ, জলযান এবং পর্যটনের জন্য ডিজাইনকৃত বিভিন্ন যানবাহন বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পর্যটন খাতে অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়বে। এগুলো যাতে শুধু পর্যটন খাতে ব্যবহার করা হয় সেদিকে টোয়াব বিশেষ নজর রাখবে। রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল ও অন্যান্য পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত জিনিসপত্র যেমনÑ এয়ার কন্ডিশনার, জেনারেটর, খাদ্য প্রক্রিয়াকারী যন্ত্র; এসব পণ্যের আমদানি-শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাণিজ্যিক হোটেল-মোটেলের মতো পর্যটন খাতেও রুম ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। পর্যটনশিল্পের জন্য এই হার কমিয়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিগত কয়েক বছর দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটনশিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটাতে আগামী ৫ বছরের জন্য এই খাতের ব্যবসায়ীদের কর-অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পর্যটন খাতে নতুন অবকাঠামোগত বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য আগামী ১০ বছরের জন্য কর-অবকাশ সুবিধা চায় সংস্থাটি। একই সঙ্গে পর্যটনশিল্পে বিনিযোগ উৎসাহিত করতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদ হারে ঋণ দেওয়ার দাবি করেছে টোয়াব।
আরও খবর