কাস্টমস এসি আবু ইউসুফের নেতৃত্বে অর্ধ কোটি টাকার পন্য পাচার

Dhaka-Custom-Houseএভিয়েশন নিউজ: হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কাস্টম্স সহকারী কমিশনার (বিভাগীয়) এসির নেতৃত্বে ১৫ জন পাচারকারী গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি গ্রুপে ৫ জন করে প্রায় ৭৫ জন পাচারকারী সিন্ডিকেড অর্ধ কোটি টাকার পন্য পাচার ঘটনাটি গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে। সোমবার দুপুরে শাহ জালাল বিমান বন্দর কাস্টম্স হলের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে এই পাচার ঘটনা ঘটে।

নামকাওয়াস্তে কাস্টম্স রশিদ (বিআর) অথবা একই বিআর বার বার দেখিয়ে এই পন্য পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। সিএএবির ১৫-২০ জনের সংঘবদ্ধ ট্রলিম্যান ও সিকিউরিটি গার্ড এবং বহিরাগত ইদ্রিস ও রহুল এ পাচারের সহযোগিতা করেছে বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে পাচার সহযোগি ইদ্রিস বিমান বন্দর থানার ওসির ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার বলে সূএ জানায়। এদের সহযোগিতা করেন কাস্টম্স সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) ইয়াকুদ জাহিদ যিনি মাইক-১৫ ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকেন। যেসব পাচারকারীরা পন্য পাচার করে নিয়ে যায় তারা হলোঃ ঝিনুক গ্রুপ, আলী গ্রুপ, জহির গ্রুপ, সাঈদ গ্রুপ।

জড়িত সিএএবির ট্রলিম্যানরা হলোঃ মান্নান, আনিছ,ইব্রাহিম দেওয়ান, এবং ফারুক(ইনচার্জ) । পাচারকারী পন্যের মধ্যে রয়েছে আমাদানী নিষিদ্ধ ঔষধ, সিগারেট, মোবাইল ফোন সেট, মোবাইল এক্সসরিজ, কাপড়চোপড় এবং প্রসাধনী সামগ্রী। কাস্টম্স সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ এবং প্রটোকল কর্মকর্তা ইয়াকুদ জাহিদের সাথে গোপন সমঝোতায় প্রতি ল্যাগেজ ৩০/৪০ হাজার টাকার গোপন কন্ট্রাক্ট্রে এই পন্য পাচারের ঘটনা ঘটে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানায়।

পিকে করাচি ফ্লাইটে এসব পাচারকারীরা কাস্টম্স এর সাথে মোবাইলে সমঝোতা করে গতকাল শাহজালাল বিমান বন্দরে অবতরন করে। এদের প্রত্যেকের একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। এরা একাধিক বার ধরাও পড়েছে । কিন্তু পাচার বানিজ্য বন্ধ হয়নি। কারন নেপথ্যে কাস্টম্স সহযোগিতা।পিকে করাচি ফ্লাইটটি এরা নিলামে তুলেছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।

এ ব্যাপারে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার জানান, আমার শিফটে পাচার ঘটনা ঘটেনি । প্রটোকলের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইয়াকুদ জাহিদ জানান, পাচার ঘটনা আমি জানি না প্রিভেনটিভ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.