এনএলডির যে আইনপ্রণেতারা গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তারা নিজেদেরকে মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়েছে।
সিআরপিএইচ এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। তিনি বলেছেন, ”এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।”
সিআরপিএইচ ঘোষণা দিয়েছেন যে, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, এই আইনপ্রণেতাদের সহায়তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল।
মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ। একটি ফেসবুক বার্তায় মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ”এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারে বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।“
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।
গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছিল এনএলডি, তবে সামরিক বাহিনীর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চিকেও গ্রেফতার করেছে সামরিক জান্তা। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে শনিবারও অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।