লকডাউন শুরুর আগের দিন লেনদেন বন্ধের গুজবে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কমেছে ১৮১ পয়েন্ট। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
করোনা সংক্রমণের বিস্তাররোধে দেশে লকডাউন শুরুর আগের দিন লেনদেনের একদম শুরুতেই ১০০ পয়েন্টের ওপরে হারায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক। ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম হলেও মোবাইলেই শেয়ার বিক্রির আদেশ আসছিল একের পর এক। গতবারের মতো এবারও লেনদেন বন্ধ হতে পারে এমন গুজব ছিল বাজারে।
ব্যাংকের সঙ্গে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এমন স্পষ্ট ঘোষণা দেয়ার পরও এমন হঠকারী আচরণ অযৌক্তিক বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
বিএমবিএ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিনিয়োগ করা বা বিনিয়োগ থেকে বের হওয়া দুইটার ক্ষেত্রেই কিন্তু সুবিবেচনাটা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। কারণ এভাবে আতঙ্কিত হয়ে যদি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় বা বিনিয়োগ থেকে বের হয়ে যায় এতে কিন্তু তাদের মূল পুঁজি নষ্ট হবে। বিনিয়োগকারীর পুঁজি নষ্ট হওয়া মানে কিন্তু বাজারের জন্যও ক্ষতিকর। ‘
রোববার (৪ এপ্রিল) ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৫২১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম কমেছে ২৫১টির আর বেড়েছে মাত্র ৭টির।