সিঙ্গাপুরভিত্তিক সুইফট এয়ার কার্গোর কাছে ৩১২ কোটি টাকার বেশি শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ইউনাইটেড এয়ার। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট পদ্ধতিতে এ শেয়ার বিক্রিতে নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর লক-ইনের (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা) শর্ত রয়েছে। তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ইউনাইটেড এয়ার এ শর্ত শিথিল করে এক বছর করার আবেদন করেছে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে ৫ জুন এক আবেদনে কোম্পানিটি বলেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যতটা সম্ভব দ্রুত বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে চায়। এ ক্ষেত্রে লক-ইন আরোপ করা হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে কোম্পানিটি নিরুৎসাহিত হতে পারে।
গত ১ জুন বিএসইসি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করে ৪০০ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার মূলধন সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে উড়োজাহাজ সরবরাহের বিপরীতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সুইফট এয়ার কার্গোর কাছে ৩১২ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। এ কোম্পানির ক্ষেত্রে তিন বছরের লক-ইন আরোপের শর্ত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ইউনাইটেডের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার ক্রয় বা অধিগ্রহণে লক-ইন আরোপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোম্পানি বিশেষের ক্ষেত্রে এ নিয়ম বদলানোর সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক অপর এক কোম্পানি ফনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই ও বাংলাদেশি কোম্পানি টিএসি এভিয়েশনের কাছে বাকি ৮৮ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রির অনুমতি পেয়েছে ইউনাইটেড। এ দুটি কোম্পানির ক্ষেত্রে এক বছরের লক-ইনের শর্ত দিয়েছে বিএসইসি। টিএসি এভিয়েশন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এমডি তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন আরেকটি কোম্পানি। লক-ইন প্রত্যাহারের আবেদনকে সন্দেহজনক মন্তব্য করে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত স্বল্পমেয়াদে মূলধনী বিনিয়োগ করেন না।
বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় সুইফট এয়ার কার্গো ইউনাইটেড এয়ারকে যে উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে, সেটির প্রকৃত মূল্য যাচাই করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও খবর