ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, অভ্যন্তরীণ রুটে বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্যা ইয়ার ২০১৫ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। প্রথম বারের মতো দেশের এক হাজার মেধাবী উচ্চ শিক্ষার্থীদেরকে প্লেনে চড়ার ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে “ফ্লাইং দ্যা ফিউচার অব বাংলাদেশ” কার্যক্রম শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ধারাবাহিকভাবে সারা বছর এ কার্যক্রম চালু থাকবে।
“ফ্লাইং দ্যা ফিউচার অব বাংলাদেশ” কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আনন্দিত। তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এই ব্যতিক্রমী উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা প্রকাশ পাবে। পর্যটন বর্ষে এ ধরনের উদ্যোগ উচ্চ শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্যটন শিল্প বিকাশে আরো সক্রিয় ভুমিকা রাখবে বলে তাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের মেধাবী উচ্চ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আরো মনোযোগী করার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এই ধরনের বাস্তবমূখী পদক্ষেপ প্রশংসার দাবী রাখে। এ কার্যক্রমে দেশের সকল সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলোকে এ প্রোগ্রামের অধীনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভবিষ্যতে এয়ারলাইন্সের কর্মক্ষেত্রে ও বিমান যাত্রী হিসাবে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম বিশ্বের এভিয়েশন ইতিহাসে নজীরবিহীন, যা ইতিপূর্বে কোনো এয়ারলাইন্সই উদ্যোগ নেয়নি।
বর্তমানে ৭৮ আসনবিশিষ্ট তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা দিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে অন-টাইম সার্ভিস, আন্তর্জাতিক মানের ইন-ফ্লাইট সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারনের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা প্রায় ৯৮.৭ ভাগ যা দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলির মধ্যে সর্বাধিক এবং স্বল্প যাত্রায় প্রায় শতভাগ যাত্রীদের সন্তুষ্টি লাভ করেছে এয়ারলাইন্সটি। দেশীয় বিমান পরিবহনখাতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-ই একমাত্র কোম্পানী যা আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফাইড এয়ারলাইন্স।
“ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ” স্ল্গোান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু হওয়া ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ সেক্টরে অধিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও মার্কেট শেয়ারের অর্ধেকের বেশী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বারো হাজারের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সময়ের হিসেবে যা অভ্যন্তরীণ রুটে এটি একটি মাইলফলক। ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা ঢাকা-কাঠমুন্ডু ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলেছে। খুব শীঘ্রই ঢাকা থেকে কলকাতা, পারো, কুয়ালা লামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কাট রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।