আফগানিস্তানের আকাশপথ নিয়ে শংকায় ভারত

আফগানিস্তানের  আকাশপথ নিয়ে শংকায় পড়েছে ভারত। একদিকে যেমন কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না বহু দেশ। অন্যদিকে ভারতের আকাশপথ থেকেও এক-এক করে বিদেশি বিমান মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে। এমন আশঙ্কা করছে ভারতের বিমান কর্তৃপক্ষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, এমনটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমান কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষের আরেক কর্তা জানান, করোনার আগে যত বিদেশি ফ্লাইট প্রতিদিন দিল্লির আকাশ পেরিয়ে পাকিস্তানে যেত, এখন যাচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই সংখ্যাটাও ছিল প্রায় ৫০০-এর কাছাকাছি। ইতিমধ্যেই ভারতের আকাশ ছেড়ে অনেক বিমান চীনের আকাশ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা উড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ওভারফ্লাইং বিমানকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) পরিষেবা দিয়ে মোটা টাকা রোজগার করে ভারত সরকার। এমনিতেই কিছু বিদেশি ফ্লাইট চীনের আকাশ ব্যবহার করায় সেটা কমেছে। কাবুলের কারণে আবার যদি অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তা হলে সেই রোজগার আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, কাবুলের আকাশ এলাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিদেশি সংস্থা তাদের ফ্লাইট একেবারে বাতিল করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। এমনিতেই করোনার ফলে ফ্লাইট সংস্থাগুলি ভয়ঙ্কর লোকসানের মুখে। তার ওপর রুট বদল করতে হলে অতিরিক্ত জ্বালানি লাগবে। তাতে লোকসান বাড়বে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার আরও জানায়, কিছু বিদেশি ফ্লাইট তাদের রুট বদলে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এত দিন বেশ কিছু ফ্লাইট কলকাতায় ঢুকে দিল্লি হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় উড়ে যেত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানের আকাশে আর ঢুকতে পারছে না বিদেশি বিমান।

আপাতত দিল্লির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া (ওভারফ্লাইং) বিমান পাকিস্তানের আকাশ হয়ে কাবুলে না ঢুকে অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। এর আগে বালাকোট অভিযানের সময় পাকিস্তানের আকাশ এলাকা যখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন দিল্লিতে ওভারফ্লাইং ফ্লাইটের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তুলনায় ভিড় বেড়েছিল মুম্বইয়ে।

ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, এবার অবশ্য এখনও ততটা খারাপ অবস্থা হয়নি। কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল ধরে আফগানিস্তানের আকাশ বন্ধ থাকলে কী হবে, সেটা কিন্তু বলা মুশকিল।”

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.