সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ বানাল ভারত

supersonic_18113_1467437546ভারতের নিজের তৈরি যুদ্ধবিমান পেল দেশটির বিমানবাহিনী। দীর্ঘ ৩ দশক অপেক্ষার পর ‘এইচএএল তেজস’ নামে দুটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। ‘ফ্লাইং ডেগারস’ নামে একক ইঞ্জিনের চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক এ বিমান খুবই হাল্কা। এ বিমান বহুমুখী কাজ করতে সক্ষম।

শুক্রবার ভারতের প্রথম তেজস স্কোয়াড্রনের অংশ হিসেবে বেঙ্গালুরুর একটি বিমানঘাঁটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি বিমান যুক্ত হল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

বিমান দুটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ও হালকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধবিমানের জন্য ভারতের ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হল। যদিও বিমানটির জিই ইঞ্জিনসহ আরও বেশকিছু উপাদান আমদানিকৃত। অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে যৌথভাবে এ বিমান তৈরি করেছে এইচএএল বা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।

এ যুদ্ধবিমানটিতে চালক ছাড়া থাকতে পারবেন মাত্র একজনই। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে দীর্ঘ ৫-৬ দশক ধরে যে ভূমিকা ছিল সাবেক সোভিয়েত যুদ্ধবিমান ‘মিগ-২১’ এর, এবার সেই জায়গাটাই নিতে চলেছে ‘তেজস’। প্রায় সাড়ে ১৩ মিটার লম্বা আর ১২ টন ওজনের যুদ্ধবিমানগুলোর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫০ কিলোমিটার।

সর্বাধিক ৪০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা চষে বেড়ানোর জন্য ‘তেজস’ এ নতুন করে জ্বালানি ভরতে হবে না। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মোট ৩৩টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। সেসব স্কোয়াড্রনের প্রত্যেকটিতে রয়েছে ১৬ থেকে ১৮টি যুদ্ধবিমান।

প্রাথমিকভাবে এক স্কোয়াড্রন ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান পাবে বিমানবাহিনী। তেজসে রয়েছে ইসরাইলে তৈরি অত্যাধুনিক মাল্টিমোড রেডার, ‘এলটা ২০৩২’? আকাশে শত্রুপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ‘এয়ার টু এয়ার’ মিসাইল উড়ন্ত অবস্থায় মাটিতে টার্গেট করে শত্রুঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য তেজসে রয়েছে লেজার ও টার্গেটিং পডস।

সবচেয়ে বড় কথা, তেজসের চেয়ে নিরাপদ যুদ্ধবিমান খুব কমই রয়েছে। ৩০০০ বারেরও বেশি টেস্ট ফ্লাইংয়ের সময় একবারও মাঝ-আকাশে ভেঙে পড়েনি এ বিমান? ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ ২০০০ মডেলের সঙ্গে এক আসনে বসানো যায় তেজসকে। এ বিমানকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ‘ব্লু-আইড বয়’ বা ‘আদরের সন্তান’ বলা হচ্ছে!

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.