রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ অবতরণের ক্ষেত্রে পাইলটের দক্ষতার প্রশংসা করলেও খাবারের পরিমাণ কম দেয়া থেকে শুরু করে সার্বিক সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিমান যাত্রীরা।
তারা অভিযোগ করছেন, অন্যান্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যদি যাত্রীদের সেবার মান ভালো দিতে পারে, তাহলে কী কারণে রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভালো সেবা দিতে পারবে না?
এসব বিষয়ে বিমান ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই মনিটরিং বাড়াতে হবে।
নতুবা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ বিমানের সুনাম খারাপ হতে থাকবে বলে মনে করছেন সচেতন যাত্রীরা।
গত শনিবার বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে সৌদিসর জেদ্দা থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন প্রজন্মের (এয়ারক্রাফট বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর) ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমানটিতে একাধিক ভিআইপিসহ ৪ শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এই ফ্লাইটটিকে পাইলট বোর্ডিং ব্রিজে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১০ মিনিট পরে অবতরণ করা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটকে ৮ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে লাগানোর অনুমতি দেয়া হয়।
উপায় না পেয়ে পাইলট সাজিদ উড়োজাহাজটি টেক্সিওয়েতে থামান।
এ সময় অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল।
যার কারণে যাত্রীদের বৃ’ষ্টির মধ্যে ট্যাক্সি’ওয়ে থেকে টার্মিনালে যেতে হয়।
এতে নারী পুরুষসহ বেশির ভাগ যাত্রী ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর বেল্টে গিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার হয়রানি।
যাত্রী’দের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
বিড়’ম্বনার একপর্যায়ে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হতে থাকেন।
৪ ঘণ্টা পর তারা তাদের লাগেজ হাতে পান।
এ সময় অনেক যাত্রী বিমানবন্দর ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বিমানের ম্যানেজ’মেন্টের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গতকাল রোববার ওই ফ্লাইটের যাত্রী প্যানব্রাইট ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী এবং সাবেক হাব নেতা রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, আমাদের বিমানে এখন নতুন নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজন হলেও সেবার মান আগের মতোই রয়ে গেছে।
তবে বিমানের পাইলট সাজিদের দক্ষতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের ফ্লাইটের ক্যাপ্টেনের বিমান ল্যান্ডিং করানো ছিল খুবই চমৎকার।
তিনি বলেন, যাত্রীরা যখন টার্মিনালে লাগেজ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, তখন বিমানের পাইলটকে সামনে পেয়ে তারা তার প্রশংসা করছিলেন।