বিশেষ প্রতিবেদক : বহুবার বহুদিন বহু পত্রিকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি অর্থায়ন, জঙ্গি লালন, দূর্নীতি, নারী কেল্কেংকারী সহ বহু বিষয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে । এতে সরকার কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেনি । ব্লগার হত্যা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশে যতগুলি বড় ধরনের জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয়েছে প্রত্যেকটিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গী ছাত্ররা জড়িত । ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে সশস্ত্র হাামলার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঈদের দিন রক্তাক্ত হলো কিশোরগঞ্জের শোলকিয়া। বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য যখন দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহের দিকে মানুষের ঢল তখনই জঙ্গিরা দায়িত্বরত পুলিশের উপর বোমা হামলা চালায় । দুই পুুলিশ সহ চার জন নিহত হয় । এই হামলায় হামলাকারী আবীর রহমান (২২) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল ।
১ জুলাই ২০১৬ ইং তারিখে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলাকারীদের মধ্যে নিবরাস ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ছিলেন । গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং তারিখে দৈনিক কালের কন্ঠে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা হাতিয়ে জঙ্গি অর্থায়ন শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি অর্থায়নের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের কয়েকজন দূর্নীতিবাজ সদস্যের বিরুদ্ধে আশালয় হাউজিং এর চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ফালুর যোগসাজশে জমি কেনার নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । অভিযোগে বলা হয় জমির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী মূল্য দেখিয়ে টাকা পরিশোধ করে, পরে উক্ত বাড়তি অর্থ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় অসাধু ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যগন ভাগাভাগি করে নেয় ।
জানা গেছে নর্থসাউথের ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য আবুল হাশেম (সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য), মো: শাহজাহান (বিএনপি সমর্থক), এম.এ. কাশেম (জামায়াত সমর্থক), বেনজীর আহমেদন (বিএনপি সমর্থক), আজিম উদ্দিন (বর্তমান সরকারের ঘোর বিরোধী), রেহানা রহমান (বিএনপি সমর্থক), ইয়াসমিন কামাল (বিএনপি সমর্থক) ।
অভিযোগ অাছে নর্থসাউথের অনেক প্রভাবশালী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করা হতে পারে। জানা যায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অনেক মেধাবী ছাত্রদের ফেল করিয়ে তাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ভর্তি করে এতে প্রায় প্রতি সেমিষ্টারে ১০/১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়, যা জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে। এ টাকার কোন হিসাব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই ।
গত ১৮/৪/২০১৬ তারিখে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আশালয় হাউজিং লি:, রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ এর নিকট থেকে ৫০০ কোটি টাকায় ২৫০ বিঘা কিছু উচু ও বেশীর ভাগ জলাশয় জমি ক্রয় করে। রূপগঞ্জে আশালয় হাউজিং লি: এর জলাশয় প্রতি বিঘা জমির গড় মূল্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা । সে হিসাবে এক বিঘা জমির মূল্য যদি ১ কোটি টাকাও হয় তবু নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৫০০ বিঘা জমির মালিক হতে পারতো । সরেজমিনে তদন্ত করে আশালয় হাউজিং লি: এর আশে-পাশের একই মৌজার দলিল সংগ্রহ করে এ মূল্য তালিকা পাওয়া যায় ।
গত ১৯/৪/২০১৬ ইং তারিখে মোট ৫ টি রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদন করা হয় যাহার দাতা আশালয় হাউজিং লি: এবং গ্রহীতা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় । দলিল নং ৫৮১৬ মূল্য ২২৬,৫২,৫৪,০০০ টাকা, দলিল নং ৫৮১৭ মূল্য ৪৮,৩১,৪৫,০০০ টাকা, দলিল নং ৫৮১৮ মূল্য ৭১,৬৮,৫৫,০০০ টাকা, দলিল নং ৫৮১৯ মূল্য ১০০,১৩,৮২,০০০ টাকা, দলিল নং ৫৮২০ মূল্য ৫৩,৩৩,৬৪,০০০ টাকা, দলিল নং ৫৮২১ চুক্তিনামা দলিল সম্পাদন করিয়াছে । উক্ত জমি ক্রয় করার সময় ট্রাষ্টি বোর্ডের অনেকেই বিজ্ঞপ্তি (ওপেন টেন্ডার) ছাড়া এবং সরকারের নিয়ম বর্হিভূত জমি ক্রয়ে বাঁধা প্রদান করে । এতে বাঁধা প্রদানকারী বোর্ড মেম্বারগনের অনেককেই বোর্ড মিটিং এর কোন চিঠি দেয়া হয় না । আসলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের ৫০০ কোটি টাকার আশালয় হাউজিং লি: এর জলাশয় ক্রয় করার রহস্য কি ? কেনইবা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্ররা জঙ্গি তা জনমনে প্রশ্ন ।