এবারের হাজীদের জমজমের পানি ও লাগেজ পরিবেশন নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে বলেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। বিমানের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ ইতিমধ্যে এনিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। জমজমের পানি ও লাগেজ পেতে এবার হাজীদের কোনো ধরনের ভোগান্তি হবে না বলেও তারা নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
বিমানের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের প্রধান পরিচালক আতিক সোবহান বলেন, হাজীরা বিমান থেকে নেমেই লাগেজের সঙ্গেই জমজমের পানি পেয়ে যাবেন। ফেরার পথে বিমানেই হাজীদের জন্য একটি কুপন সরবরাহ করা হবে। বিমানের কেবিন ক্রুরাই এ কুপন সরবরাহ করবেন। বিমানবন্দরে নেমে কুপন দেখালেই হজ ফ্লাইট পরিচালনায় নিয়োজিত কর্মীরা হাজীদের জমজমের পানি পরিবেশন করবেন। পরিচালক হাজীদের এবছর দ্রুততম সময়ের মধ্যে লাগেজ পরিবেশন করতে পারবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে কোনো ধরনের ভোগান্তি হবে না বলে তিনি জানান। তিনি জানান, খুব শিগগিরই হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে ৬০ জন জনবল (ট্রাফিক হেলপার) নিয়োগ দেয়া হবে। এরা শুধুমাত্র হাজীদের লাগেজ ও জমজমের পানি পরিবেশনে সার্বক্ষণিক সহায়তা করবেন। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের বোর্ডিংকার্ড ইস্যুসহ বিমানবন্দরে অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ২৫ জন বিশেষায়িত ট্রাফিক সহকারী নিয়োগ দেয়া হবে। প্রথম ফিরতি ফ্লাইট থেকেই প্রত্যেক হাজীর নামে বিমান জমজমের পানি আনবে। এ পানি বিমানবন্দরের একটি সংরক্ষিত অঞ্চলে রাখা হবে। এরপর হজ শেষে হাজীরা যখন দেশে ফিরবেন তখন তাদের লাগেজের সঙ্গে পানিও দিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর হাজীরা দেশে ফেরার পর লাগেজ ও জমজমের পানির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে থাকেন। লাগেজ পেতেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। বিমানবন্দরে হাজীদের দেখাশুনার জন্য বিমানের কোনো জনবল থাকে না। লাগেজ আসতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে। এসব কারণে কাস্টমার সার্ভিস বিভাগ এবার অগ্রিম সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে।