সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সোনাসহ আটক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু জিয়াউলকে দেশে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিমানবন্দর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাকে একটি ফ্লাইটে দেশে পাঠায় জেদ্দা পুলিশ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরপরই তাকে হেফাজতে নেয় বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিয়াউলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে রোববার বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ সোনাসহ তাকে আটক করে জেদ্দা বিমানবন্দরের পুলিশ। তবে তার কাছে কী পরিমাণ সোনা ছিল তা বিমানকে জানায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববারের ঘটনার বিষয়ে বিমানের সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতের জেদ্দা-ঢাকা রুটের বিজি-১৩৬ নম্বর ফ্লাইটের ক্রু ছিলেন জিয়াউল। বোর্ডিংয়ের আগে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় তার ব্যাগে সোনাসহ সন্দেহজনক কিছুর উপস্থিতি টের পান নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জিয়াউলের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফ্লাইটটি। কিন্তু পরে তাকে রেখেই একজন ক্রু কম নিয়েই রওনা হয় ফ্লাইটটি।
ওই ফ্লাইটে থাকা বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিমানের ওই ফ্লাইটে ৪১৭ যাত্রী ছিলেন। ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন বিমানের ক্যাপ্টেন খাজা। মোট ১০ ক্রু থাকার কথা ছিল ফ্লাইটে। তবে একজন ক্রু কম থাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তারা ফ্লাইটটি ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছিল না। পরে ওই ফ্লাইটে থাকা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন যাত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে ৯ জন ক্রু নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার অনুমতি নেন।
এর আগেও জেদ্দা বিমানবন্দরে সোনা ও বিপুল পরিমাণ মুদ্রাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন রুহুল আমিন শুভ নামে বিমানের এক কেবিন ক্রু।