রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর সড়ক সবসময়ই ব্যস্ততম সড়ক। প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্ট-উত্তরামুখী সড়কে সকাল থেকেই তীব্র যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের ভেতর অপেক্ষার পর অনেকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন।
আজ বুধবার সকাল থেকেই এমন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের।
ভয়াবহ যানজটে এই পথে চলাচলকারী কেউ-ই সঠিক সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। অফিসগামীদের অনেকেই পায়ে হেঁটে অফিস ধরেছেন।
রাজধানীর উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে গত কয়েক দিন ধরেই অসহনীয় যানজট। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা ও বেহাল রাস্তার কারণে এই যানজট বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। আজ ভোর থেকে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় সকাল থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার ভোর থেকে বিমানবন্দর সড়ক প্রায় থমকে আছে। এয়ারপোর্ট সড়কে ঢোকা এবং বের হয়ে যাওয়ার দুই পথেই তীব্র যানজট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, ভোরে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর বাসে উঠে একই জায়গায় বসে থাকার পর হেঁ েটেই রওনা দেন অফিসের দিকে। এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গিমুখী সড়কে স্থবির স্থবির হয়ে পড়েছে যানচলাচল। এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গি পর্যন্ত তার হেঁটে আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি সময়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুরমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, কাওলা, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর পেরিয়ে গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে আমরা যারা স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছি, যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন তারা যেসব দুর্ভোগের শিকার হন তার মধ্যে যানজট সবার শীর্ষে। যানজটের কারণে গতি থমকে থাকলেও সময় থমকে থাকে না। সময় মতো না পৌঁছার কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। সার হয় আসা-যাওয়া। এ তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার জীবনের কম-বেশি রয়েছে। দিনকে দিন প্রকট হয়ে উঠছে যানজট।