বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির আতঙ্ক তাড়া করল নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সকে! সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২ জেট বিমান নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে উড়ে যান ক্রিস। ২টি জেট বিমান নিয়ে যাওয়ার কারণও জানানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে। একটি খারাপ হলে, আরেকটি বিমান রাখা হয়েছিল ব্যাকআপের জন্য।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ বাণিজ্য দল নিয়ে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্সের বোয়িং ৭৫৭-এ করে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সঙ্গে ছিল আরও একটি বিমান। জানা যায়, ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা পর্যন্ত দ্বিতীয় বিমানটি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে, ব্যাকআপ হিসেবে সেটিকে রাখা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে দুই দু’টি বিমানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নিউজিল্যান্ডে পড়ে যায় শোরগোল। যদিও, এ নিয়ে সাফাই দিতে ভোলেনি ওয়েলিংটন। তারা জানিয়েছে, ভ্রমণের গুরুত্ব এবং দীর্ঘ দূরত্বের কথা চিন্তা করেই ব্যাকআপ হিসেবে দ্বিতীয় বিমান রাখার কথা বিবেচনা করা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্ররীর অফিসের এক কর্তা জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্সের বোয়িং ৭৫৭-টি অনেক দিনের পুরনো। সে কথা বিবেচনা করেই ব্যাকআপ বিমান রাখার সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
যদিও এ নিয়ে সরব হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দলগুলি। দ্বিতীয় বিমান নেয়ার সিদ্ধান্ত শুধু বিভ্রান্তকরই নয়, সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর দুর্বল দিক বিশ্ব দরবারে ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেছেন প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টির নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন। পুরনো বিমানে করে কেন প্রধানমন্ত্রী বেইজিং সফরে গেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিরোধী দলের নেতা।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের সরকার দূরণ রোধে অনেক বেশি সচেতন। দ্বিতীয় বিমান নিয়ে যাওয়ার ফলে দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন আরেক বিরোধী নেতা ডেভিড সেমুর। এ বিষয়ে সরকারকে নজর দেয়ার জন্য আবেদন জানান। তবে, রাজনৈতিক নেতাদের বিমানে আটকে পড়ার ঘটনা এর আগে নিউজিল্যান্ডে একাধিকবার ঘটেছিল।
গত বছর যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন অ্যান্টার্কটিকায় বিমানে মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। সেই সময় একটি ইতালীয় বিমানে করে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। গত বছর শুরুর দিকে মার্কিন সফরে গিয়ে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরডার্নকে। ওয়াশিংটনে আটকে পড়েন তিনি। পরে একটি বাণিজ্যিক বিমানে দেশে ফিরে যান।